গণপরিবহনের কারণে বাড়ছে সংক্রমণ – স্বাস্থ্যমন্ত্রী

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়ার পেছনে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচলকে দায়ী করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি মারাত্মক জানিয়ে মন্ত্রী সতর্ক করেছেন, এখনই স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কঠোর না হলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে।
শুক্রবার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী যাতায়াত করে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য মানুষের যাওয়া-আসা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমের মৌসুমে আম কেনা ও ধান কাটার জন্য লোক যাওয়া আসা করছে। এ কারণে করোনার সংক্রমণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।’ গণপরিবহনে সরকারের নির্দেশ মেনে যাতায়াত এবং অর্ধেক সিট খালি রাখার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখন সারাদেশের হাসপাতালে ১৫০০-এর মতো রোগী ছিল। সংক্রমণ বাড়ায় বর্তমানে সারাদেশে চার হাজারের মতো রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রত্যেক দিন প্রায় চার হাজারের কাছে নতুন রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন। এই হারে যদি রোগী বাড়ে, তাহলে হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জায়গা দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।’
উত্তরাঞ্চলে অবস্থার অবনতি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা ও নওগাঁয় করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। নোয়াখালীতেও করোনা বাড়তি এবং রাজবাড়ী পর্যন্তও পৌঁছে গেছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে টিকা কর্মসূচি এখনো পুরোপুরি চালু করতে পারিনি। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই টিকা পেয়ে যাবো। চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা পাবো এবং ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেখান থেকেও পাবো। কিন্তু এখনো তা পাওয়া যায়নি। টিকা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু একজন মানুষ সুরক্ষিত হয় না, আরও এক মাস সময় লাগে। ভারতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) আমাদের দেশেও এসেছে, এর সংক্রমণ ক্ষমতা ৫০ ভাগের বেশি। কাজেই এই সময়টা আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের, পরিবার ও দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, বালিয়াটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, ধানকোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ, সাটুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু, তিল্লি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরসালিন বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।