বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করুন

7

কোভিড-১৯-এর মতো ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর মহামারী মোকাবেলায় সমগ্র বিশ্বকে একযোগে কাজ করতে হবে- কিছু বিলম্বে হলেও বোধোদয় ঘটেছে গ্রুপ-৭ দেশভুক্ত নেতাদের। যুক্তরাজ্যের পাহাড় ও সমুদ্রসৈকত পরিবেষ্টিত মনোরম অবকাশ কেন্দ্র কারবিস বে-তে তিন দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে রবিবার। ইতোমধ্যেই সম্মেলনের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শিল্পোন্নত সাত দেশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপান এই জোটের সদস্য। অবশ্য এসব দেশও করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনীতিও। তদুপরি করোনা মহামারীর প্রায় ২ বছর পর ধনী দেশগুলোর নেতারা এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসার সুযোগ পেয়েছেন। তবে যথারীতি মেনে চলেছেন সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষাবিধি। জলবায়ু সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মত হয়েছে ৭টি দেশ। চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন ‘নেচার কম্প্যাক্ট’ শিরোনামে। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন অর্ধেকে। সবিশেষ জোর দিয়েছেন আগামীতে করোনা মহামারীর মতো রোগ-ব্যাধির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার। অঙ্গীকার করেছেন উন্নয়নশীল ও অনুন্নত বিশ্বের জন্য ১০০ কোটি ডোজ করোনার টিকা দেয়ার। অবশ্য জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, এই টিকার পরিমাণ যথেষ্ট নয়। চীনকে ঠেকাতে একমত হয়েছেন সবাই। চীনের পরিকল্পিত বেল্ট এ্যান্ড রোডস ইনিশিয়েটিভের বিপরীতে বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড -এর পরিকল্পনা করেছেন। তবে শঙ্কা, এই নিয়ে যেন নতুন করে কোন স্নায়ুযুদ্ধ অথবা বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু না হয়।
চলতি মহামারীতে প্রমাণিত হয়েছে, প্রত্যেক মানুষ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নন। সে অবস্থায় আগামীতে এ জাতীয় মহামারী রুখতে এবং শান্তি সমৃদ্ধি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে হবে বিশ্বকে। উল্লেখ্য, বিশ্বের অনেক দেশ এখন পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন পায়নি। সেক্ষেত্রে এ জাতীয় মানবিক বৈশ্বিক আবেদন ও আহ্বান অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ টিকা নিলেই করোনা প্রতিরোধে গড়ে উঠবে হার্ড ইমিউনিটি তথা সর্বাত্মক সুরক্ষা। এর পাশাপাশি বিশ্বকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কাজ করতে হবে একযোগে। নিতে হবে সমন্বিত পদক্ষেপ। জি-৭-এর নেতৃবৃন্দ যত দ্রুত বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবেন, বিশ্বের জন্য ততই মঙ্গল।