স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর চৌহাট্টায় সিগন্যাল অমান্য করে বাধা দেয়ায় ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টকে মারধর করেছেন সৌরভ চৌধুরী নামের এক যুবক।
ঘটনার পর পুলিশ মোটর সাইকেল চালক সৌরভ চৌধুরী (২১) ও আরোহী বাদল চৌধুরীকে (২৯) গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের মারধরে আহত মো. জসিম উদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আবু ফরহাদ জানান, গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার মোটর সাইকেলযোগে চৌহাট্টার দিকে যাচ্ছিলেন সৌরভ ও বাদল। হেলমেট না থাকা ও বেপোরোয়া গতির কারণে চৌহাট্টা পয়েন্টে তাদের থামান দায়িত্বরত পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট জসিম উদ্দিন।
ওসি বলেন, মোটর সাইকেল থামানোর কারণে সার্জেন্টের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন সৌরভ। নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে তিনি সার্জেন্ট জসিম উদ্দিনকে গালাগালি করেন এবং একপর্যায়ে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ মিলে তাদের নিবৃত্ত করেন। ওসি বলেন, এ ঘটনার পর সৌরভ চৌধুরী ও বাদল চৌধুরীকে থানায় নিয়ে আসা হয়। ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করছেন। মামলায় এই দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সৌরভ শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকার পীরপুর গ্রামের সন্তোষ ঘোষের পুত্র।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চারদিকের সড়কেই গাড়ির লম্বা লাইন লেগে যায়। এসময় ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দুদিকের গাড়ি বন্ধ করে দুদিকের গাড়ি ছাড়েন। কিন্তু ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ সার্জেন্টের সিগন্যাল অমান্য করে মোটরসাইকেল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে জসিম উদ্দিন বাধা দেন। এ সময় সৌরভ উত্তেজিত হয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের দিকে তেড়ে গিয়ে মারধর শুরু করেন। এতে ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিম আহত হন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ দ্রুত চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সৌরভ ও তার সহযোগিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দানকারী সৌরভ নামের এক যুবক ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিমকে বেধড়ক মারধর করেছে। তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে মামলা (নং-৩৪) দায়ের করেছেন।