কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে এখন পর্যন্ত ৭১৯ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। শনিবার দ্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন আইএমএ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক মারা গেছেন বিহার রাজ্যে। তারপরই রাজধানী দিল্লীর অবস্থান।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, ১৭ কোটি ৬১ লাখ ৪ হাজার ১৫৬ জন। মৃত্যু ৩৮ লাখ ২ হাজার ১৬৫ জনের। সুস্থ হয়েছে ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬ জন। খবর আলজাজিরা, পিটিআই ও অন্যান্য ওয়েবসাইটের। আইএমএর তথ্যানুযায়ী বিহারে ১১১ জন, দিল্লীতে ১০৯ জন, উত্তর প্রদেশে ৭৯ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৬৩ এবং রাজস্থানে ৪৩ জন চিকিৎসক মারা গেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশে ৩৫, তেলেঙ্গানায় ৩৬, তামিলনাড়ুতে ৩২, কেরলে ২৪ জন এবং কর্নাটকে ৯ জন চিকিৎসক করোনায় মারা গেছেন। কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। যাদের এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা বলা হচ্ছে। নিজের জীবনের পরোয়া না করে তারা রোগীদের প্রাণ রক্ষা করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনায় ভারতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৩৩২, যা গত ৭০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। শনাক্তের হার ৪.৩৯ শতাংশ। এ নিয়ে গত ৫ দিন ধরেই ভারতে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। শুক্রবার দেশটিতে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৪০৩ জন। ওইদিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার ৭০২ জন। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৫৫ জন। মোট মৃত্যু ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮১ জনের।
টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের জন্য সুখবর দিল সুইজারল্যান্ড : উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা (জিসিসি) এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর যেসব লোকজন টিকা গ্রহণ করেছেন তাদের নিজ দেশে ভ্রমণের অনুমতি দিচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এসব ভ্রমণকারীকে ভ্রমণের আগে করোনা পরীক্ষা করতে হবে না এমনকি সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে হবে না বলে জানানো হয়েছে। সিনোফার্মসহ ইউরোপিয়ান মেডিক্যাল এজেন্সি (ইএমএ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত টিকা গ্রহণ করলেই এখন থেকে সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ করা যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর যেসব নাগরিক টিকার দু’টি ডোজই গ্রহণ করেছেন তারা কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের অনুমতি পাচ্ছেন। এসব নাগরিকরা ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ভ্রমণ করতে পারবেন। করোনা মহামারীর কারণে বিভিন্ন দেশে পর্যটন শিল্পে ধস নেমে এসেছে। সুইজারল্যান্ডেও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ভ্রমণকারীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণ কমতে থাকায় জীবন-যাত্রা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সুইজারল্যান্ড সরকার। আগামী ২৮ জুন থেকে টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টাইন বা ভ্রমণের পূর্বে করোনা টেস্ট ছাড়াই সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হবে।