বড় ভূমিকম্পে ক্ষতি হতে পারে শাবিপ্রবির

11

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
সিলেট অঞ্চলের স্থাপনা নির্মাণ সহায়তায় বেশ দৃষ্টান্ত দেখিয়ে যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এর পুর ও পরিবেশ কৌশল এবং স্থাপত্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তবে এবার স্থাপনা নিয়ে শংকিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সিলেটে দফায় দফায় সংগঠিত ভূমিকম্পে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, ইউনিভার্সিটি সেন্টার (ইউসি) ও শহীদ মিনারসহ কিছু ভবনে ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে উদ্বিগ্নতা বিরাজ করছে।
গত ২৯ ও ৩০ মে সংগঠিত ভূমিকম্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ভবনের সামনের দিকে প্রধান ফটকের বাম দিকে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থতলার বাইরের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে তৃতীয় এবং চতুর্থতলার দেয়ালের ফাটলটি তুলনামূলক বড়। এছাড়াও মূল ফটকের ডান দিকে তৃতীয় তলার দেয়ালেও ছোট ফাটল লক্ষ্য করা যায়। ফাটলগুলো নতুন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ও গার্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, একাডেমীক ভবনে ফাটল দেখার ঘটনা আজকের না। তবে সাম্প্রতিককালের ভূমিকম্পগুলোতে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টারের একাধিক দেয়াল এবং পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে কিছু পিলারসহ বিভিন্ন জায়গায় বড় ধরনের ফাটল রয়েছে। একাডেমিক ভবনের কয়েকটি দেয়ালে ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। যদিও এসব ফাটলের সৃষ্টি আগ থেকেই অনুমান করা গেছে কিন্তু এসব দেখে তেমন ভয় পায় পূর্বে কেউ।
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম উদ্ভাবিত বাংলা সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা এর ভবন(আইআইসিটি) এর গাঁয়েও ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যম কে জানান,আমরা বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, আজ বুধবার (৯ জুন) আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করব। তারপর আমরা সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।