সিসিকের অরক্ষিত ড্রেনে আবারও দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা

6

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর আম্বরখানা এলাকায় গত বছরের ডিসেম্বরে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্মাণাধীন একটি অরক্ষিত ড্রেনে পড়ে আহত অবস্থায় প্রাণ যায় সিলেটের প্রখ্যাত কবি ও ছড়াকার আবদুল বাসিত মোহাম্মদের। এ ঘটনায় এখনও সুবিচার পাননি বাসিত মোহাম্মদের পরিবার।
এ ঘটনা ছাড়াও সিসিকের চলমান উন্নয়কাজের অরক্ষিত ড্রেনে প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সব ঘটনা আসছে না গণমাধ্যমে, বেশিরভাগ ঘটনা থেকে যাচ্ছে খবরের আড়ালে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়ায় ঘটেছে এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তাওসিফ ইসলাম (৮) নামের স্কলার্স হোমের স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানের শিক্ষার্থী সিসিকের নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। সে সিসিক কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়ায় ঠিকাদার আবদুল আহাদের তত্বাবধানে সিসিকের উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। ওই পাড়ায় ড্রেনের সংস্কার কাজ অনেক দিন আগে শেষ হলেও বেশ কয়েক জায়গায় এখনও বসানো হয়নি উপরের স্ল্যাব (ঢাকনা)। বিষয়টি স্থানীয়রা ঠিকাদারের নজরে দিলেও এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেননি ঠিকাদার আবদুল আহাদ। যে কারণে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে লামাপাড়ার মোহিনী ৭৫ এর বাসিন্দা সিসিক কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের ছেলে স্কলার্স হোম শিবগঞ্জ শাখার স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানের শিক্ষার্থী তাওসিফ ইসলাম ড্রেনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় স্ল্যাব না থাকা অরক্ষিত ড্রেনে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। তৎক্ষণাৎ তাওসিফকে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে সিসিক কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান, শুধুমাত্র ঠিকাদারের অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। আল্লাহর রহমতে অল্পের জন্য আমার ছেলে রক্ষা পেয়েছে, আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তিনি বলেন, লামাপাড়া এলাকায় ড্রেনের সংস্কার কাজ অনেক আগেই শেষ। কিন্তু ঠিকাদার অবহেলা করে উপরের স্ল্যাব অনেক জায়গায় বসাননি। আমি অনেকবার আগে এ বিষয়ে তাকে বলেছি। কিন্তু তিনি ভ্রুক্ষেপ করেননি। গতকালের দুর্ঘটনার আগে আরও বেশ কয়েকটি এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে আমাদের এলাকায়।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবদুল আহাক বলেন, আসলে কোনো গাফিলতি নয়, ড্রেনে সংস্কার কাজের ৪০-৪৫ দিন পর উপরের স্ল্যাব বসাতে হয়। তাই ওই জায়গায় স্ল্যাব বসাতে দেরি হয়েছে।
এমন কারণে স্ল্যাব বসাতে দেরি হলে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বাঁশ পুঁতে লাল কাপড় বেঁধে চিহ্নিত করে রাখা হয়নি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই জায়গায় এমন সুযোগ নেই। গতকালের ঘটনাটি দু:খজনক। আমি ওই শিশুকে দেখতে তার বাসায় যাচ্ছি।