কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতিসংঘ ফিলিস্তিনের জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে গাজায় অবিলম্বে মানবিক ত্রাণ পাঠানো প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে। এক বিবৃতিতে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানিতে তারা শোকাহত বলেও উল্লে করেছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছে। ১০ মে থেকে গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের পর এই প্রথম জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিবৃতি দিল।
পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের জেরে গত ১০ মার্চ রাত থেকে অধিকৃত এই উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। টানা ১১ দিনব্যাপী ফিলিস্তিনের ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সংঘর্ষে গাজায় ২৪৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬ জন শিশু রয়েছে।
গত শুক্রবার ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে টানা ১১ দিন সংঘর্ষের পর স্থানীয় সময় দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ইতিমধ্যে কার্যকর হয়। সংঘাতে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষ নিজেদের জয় দাবি করেছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলির বিমান হামলা এবং গোলার আঘাতে ১৯০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে দুইজন শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের ভাষ্য, সংঘাতে গাজা থেকে প্রায় ৪ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় কমপক্ষে ১৫০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। অবশ্য সংগঠনের সদস্যদের প্রাণহানির বিষয়ে হামাস কোনো তথ্য দেয়নি।
স্থিতিবস্থা বজায় রাখা জরুরি উল্লেখ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ওই বিবৃতিতে সর্বাঙ্গীন শান্তির জন্য অঞ্চলভিত্তিক গণতান্ত্রীক ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়; যেখানে গঠিত উভয় রাষ্ট্র পাশাপাশি স্বীকৃত সীমান্ত নিয়ে নিরাপদে বসবাস করবে। এর আগে, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের খসড়াকৃত ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতির আহ্বান সম্বলিত চারটি প্রস্তাব আটকে দেয়। যদিও পরিষদের অন্য সকল সদস্য প্রস্তাবকৃত বিবৃতি সমর্থন করেছিলেন। ওইসব বিবৃতির মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সামরিক অভিযান শেষ হতে পারে প্রত্যাশা করা হলেও যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি আটকে দেয়।
এদিকে, শনিবার কাতার অন্য সকল আরব দেশ এবং মুসলিম দেশের সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ করতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। অন্যদিকে, মৌরতানিয়ার সংসদ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি গাজায় গণহত্যা সংগঠিত করার জন্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিচার করতে রেজুলেশন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।