কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত নিধিনিষেধের কারণে বন্ধ থাকা দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সরকার। এছাড়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলেরও। আজ সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সব ধরনের গণপরিবহন চলবে। এক্ষেত্রে যাত্রীদের শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ২১ মার্চ থেকে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গেলো বছরের ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত সাপেক্ষে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। তখন ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ৩১ মে একই নিয়ম চালু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়েও। তখনও ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছিল, তবে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ১৬ সেপ্টেম্বর আবার সব আসনে যাত্রী বহন শুরু হয় ট্রেনে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বরের পর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছিল। কিন্তু মার্চের শুরু থেকে তা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় এপ্রিলে শুরুর দিকে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।
সেখানে বলা হয়, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনকহারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ছয়টা থেকে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তখন থেকেই দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ আছে। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদেও লঞ্চ-ট্রেন এবং দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। বন্ধের দেড় মাসেরও বেশি সময় পর বাস-ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেয়া হলো।
রবিবার মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে লকডাউনের সময় ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও হয় আন্ত:জেলা সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। ফলে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রেন চলতে আর কোনো বাধা নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিতে হবে অর্ধেক যাত্রী। যাত্রীদের পরতে হবে মাস্ক।
হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোতে মোট আসনের অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দেয়া যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।