নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে দুই জনের আত্মহত্যা, আরেক জনের বিষপান

7

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই জন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ও আরেক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননকারী এক ব্যক্তির নাম নজির মিয়া (৭০)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পঞ্চিম তিমিরপুর গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে। এছাড়া একই দিনে ফাঁস লাগিয়ে খালেদ মিয়া নামের আরো একজন মারা গেছেন। তিনি নবীগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওর্য়াড গন্ধ্যা পৌর এলাকার লেচু মিয়ার ছেলে। আর বিষপান করে মারা যাওয়া যুবকের নাম আলী হাসান (১৮)। সে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কৈখাইর গ্রামের মৃত আলতাব হুসেনের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পঞ্চিম তিমিরপুর গ্রামে শুক্রবার বাড়ীর পাশের একটি গাছে রশিতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় নজির মিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্র জানায়, আত্মহননকারী নজির মিয়ার পরিবারের কয়েকজন আগে আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন এটাকে বংশীয় মানসিক রোগ বলে ধারনা করছেন।
এদিকে, স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার জের ধরে নিজ বাড়ীর পাশে আম গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শুক্রবার খালেদ মিয়া আত্মাহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক খালেদকে মৃত ঘোষণা করেন। সে পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার ছিল।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পরিবারের লোকজনের অগোচরে হারপিক পান করেন আলী হাসান। পরে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। তবে আলী হাসানের হারপিক পানের কারণ জানা যায়নি।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডালিম আহমেদ বলেন, ফাঁস লাগানো দুই জনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান। দুইটি আত্মহত্যার মধ্যে একটি আত্মহত্যার মামলা হয়েছে ও আরেকটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ওসমানী হাসপাতালে আলী হাসানের মৃত্যুর কথাও নিশ্চিত করেছেন তিনি।