ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে পৃথক সংঘর্ষে ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরতর আহত ৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঈদের দিন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা ছায়াদুল হক তালহা (২৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হয়।
তালহা উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সাউদেরগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমানের পুত্র।
গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছায়াদুল হক তালহার সাথে একই গ্রামের মৃত মাছিম আলীর পুত্র কবির হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার (ঈদের দিন) গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামায আদায় করার সময় ঘর থেকে বের হয় ছায়াদুল হক তালহা। এ সময় আগে থেকে ওৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে তাকে। একই সময় প্রতিপক্ষরা তালহার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন এতে বাধা দিয়ে তাদের নিবারন করেন। খবর পেয়ে ছাতক থানার এসআই সজিব দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আহত ছায়াদুল হক তালহার মামা কাজী রায়হানুল হক জানান, কবির হোসেন, আব্দুর রূপ, ফরিদ মিয়া, শামছু, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান সহ ১০-১২ জন ব্যক্তি সশস্ত্র অবস্থায় তালহার উপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করেছে। এ সময় তারা দু’রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করে বলে তিনি বাদী করেন। শুক্রবার (ঈদের দিন) গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামাজে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তালহাকে কুপিয়ে আহত করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অপর দিকে ঈদের আগের দিন পানি ফেলাকে কেন্দ্র করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে আপন দু’ চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ৫ ব্যক্তি আহত হয়। শহরের নেয়ারাই এলাকার মৃত নূর মিয়ার পুত্র দবির মিয়া ও মৃত মতিন মিয়ার পুত্র এনাম মিয়ার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত দবির মিয়া(৩৫) ও এনাম মিয়া(৪০) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে জানান নোয়ারাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে।