কানাইঘাটে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ ॥ আদালতে দুই আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

6

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের জন্তিপুর রাধানগর গ্রামে ১৮ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় সিলেটের বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে গ্রেফতারকৃত দুই আসামী জন্তিপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের পুত্র সুহেল আহমদ ও রাধানগর গ্রামের ইয়ারিছ আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান আসামী সুহেল আহমদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে ও ফয়ছল আহমদ ধর্ষণের সময় সেখানে উপস্থিত থেকে সহায়তা করেছে মর্মে বিজ্ঞ আদালতে গতকাল শনিবার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ভিকটিম মেয়েটিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। তিনি আরো বলেন মূলত শারীরিক প্রতিবন্ধী ঐ তরুণীকে জোরপূর্বক ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে গ্রেফতারকৃত আসামী সুহেল আহমদ। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছে মামলার অন্যান্য আসামীরা। গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে মেয়েটি প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী জন্তিপুর গ্রামের মোরাকিব আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিন তার নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে রিয়াজ উদ্দিন তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এতে দরজা বন্ধ করার দৃশ্যটি দেখতে পায় মৃত কবির আহমদের পুত্র সুহেল আহমদ। পরে সুহেল আহমদ তার সহযোগীদের খবর দিলে তারা রিয়াজের বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে রিয়াজের সহযোগিতায় গ্রেফতারকৃত সুহেল আহমদ মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর রিয়াজ মেয়েটিকে ধষর্ণের চেষ্টা করলে অন্যান্য আসামীরা তারাও ধষর্ণের চেষ্টা করে। এতে মেয়েটি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মামলার বাদি মেয়েটির বাবা মামলার এজহারে উল্লেখ করেছেন গ্রেফতারকৃত সুহেল আহমদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এবং মামলার অপর ৪ আসামী ধর্ষণ করতে না পারলেও এ কাজে তারা সহযোগিতা করেছে। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান মেয়েটির পিতা গত বৃহস্পতিবার থানায় এসে এমন অভিযোগ জানানোর পর তাৎক্ষণিক অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম স্যারের নিদের্শে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার মুল আসামী ধর্ষণকারী সুহেল আহমদ ও সহযোগিতাকারী ফয়ছল আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামী রিয়াজ উদ্দিন, ছোট সুহেল ও গিয়াছ আহমদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। স্থানীয়রা জানান শারীরিক প্রতিবন্ধী নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেয়েটির সাথে মামলার আসামী রিয়াজ উদ্দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সুযোগে রিয়াজ উদ্দিন সহজে মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।