আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে পল্লীতে গলায় ওড়না বাঁধা অবস্থায় পাপিয়া বেগম (১১) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কাইস্থকোনা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে এ শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়। সে কাইস্থকোনা গ্রামের আবু বক্করের মেয়ে পাপিয়া বেগম।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার ভোরে গ্রামে আম কুড়াতে বের হয় শিশু কন্যা পাপিয়া। এর পর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেনি। পরিবারের লোকজন গ্রাম ও সম্ভাব্য সকলস্থানে যোগাযোগ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানিয়ে রাখেন তারা। নিখোঁজের ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর শিশু সন্তানের সন্ধান না পাওয়ায় সোমবার রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় কাইস্থকোনা গ্রামের তাজ উদ্দিনের পরিত্যক্ত একটি পুকুরে শিশুর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের ধারণা প্রতিদিন আম কুড়াতে যাওয়া ওই শিশুটির উপর কোন লম্পটের কু-নজর পড়েছে। তাই পাশবিকতা শেষে শিশু কন্যাটিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে লাশ গুম করার চেষ্টা করতে পারে। এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার, ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।
নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন, জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাজ্জাদুর রহমান ও ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার এসএম মাহমুদ।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, গ্রামের একটি পুকুর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।