স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর কাজীটুলা এলাকায় নববধূ সৈয়দা তামান্না বেগমকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী নিহতের স্বামী আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার প্রায় ৫ মাস পর প্রযুক্তির সহযোগিতায় গত রবিবার ২৫ এপ্রিল রাতে ঢাকার কদমতলী থানার মুরাদপুর মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে এসএমপি কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আল মামুন বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার হোগলারচর গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল সোমবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আব্দুল মান্নান গ্রেফতারকৃত আল মামুনকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই আব্দুল মান্নান জানান, গ্রেফতারকৃত আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঘটনার নেপথ্যে আর কারা রয়েছে এবং কি জন্য হত্যা করা হয়েছে সেসব তথ্য জানতে চাইবে পুলিশ। একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি মামুনকে। সে বরিশাল অবস্থান করছে জানতে পেরে তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি। সে স্থান পরিবর্তন করে ঢাকায় চলে যায়। পরে পুনরায় প্রযুক্তির সহযোগিতায় তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ মামুনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত তামান্নার সাথে বিয়ের আগেও আরেকটি বিয়ে করেছিলেন মামুন। মামুনের বিরুদ্ধে আগের স্ত্রীর দায়ের করা মামলাও রয়েছে। আগের স্ত্রীর ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার একটি কক্ষ থেকে গত সোমবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা থানার ফুলদি এলাকার মেয়ে নববধূ সৈয়দা তামান্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী মামুন পালিয়ে যায়। পরে ওই রাতে নিহতের ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা বাদী হয়ে স্বামী মামুনসহ ৬ জনকে আসামী করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।