আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
ইজারাবিহীন ধোপাজান পাথর বালি মহালে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করে প্রান প্রকৃতি বিনাশি ড্রেজার বোমা দিয়ে ধোপাজান মহালে বালি পাথর উত্তোলনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের উপদেষ্টা ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফৌজি আরা বেগম শাম্মী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মফচ্ছির মিয়া, সনাকের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, কৃষক লীগের জেলা সভাপতি আব্দুল কাদির শান্তি মিয়া, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফজলুল করিম সাঈদ। বিবৃতি দাতারা বলেন, বিশ্বব্যাপি যখন প্রান প্রকৃতি রক্ষায় বিশ্বের ভুক্তভোগী মানুষ পরিবেশ রক্ষায় ব্যাকুল ঠিক তখন সুনামগঞ্জ জেলাধীন ধোপাজান পাথর বালি মহালে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পরিবেশ বিধ্বংসী ড্রেজার বোমার তান্ডব সর্বমহলের মানুষকে হতবাক করে দিয়েছে। বিবৃতিদাতারা আরো বলেন লোক দেখানো অভিযান নয়, অবিলম্বে কঠোর হস্তে এই তান্ডব বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনের গোয়েন্দাদের নিকট অবশ্যই এই অবৈধ কর্মকান্ডের মূলহোতদের নাম পরিচয় জানা আছে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে ধোপাজান পাথর বালি মহালের তান্ডবকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তারা বলেন, শুধু ধোপাজান নদীর ভিতরে নয় শহরের সন্নিকটে সুরমা নদীর পশ্চিম ও উত্তরপারে আব্দুজ জহুর সেতুর নীচে, বৈঠাখালি, কুতুবপুর, অচিন্তপুর,অলির বাজার ও পূর্ব সদরগড় গ্রামের সামনে নদীর পারে প্রায় আড়াই শতাধিক কার্গো বলগেড ও ইঞ্জিন চালিত নৌকায় প্রতিনিয়ত বালু পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি নদীর পারে রয়েছে অবৈধ বালু পাথরের ডাম্পিং। প্রকাশ্য দিবালোকে আইন লঙ্ঘন করে ধোপাজান নদীর বালু পাথর দ্বারা এসব অবৈধ ডাম্পিং ও বেপরোয়াভাবে বালি পাথর সরবরাহ শুরু হলেও এসব চিহ্নিত জায়গায় আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।