স্টাফ রিপোর্টার :
লকডাউনের কারণে সিলেটে গত এক সপ্তাহ পুলিশের কড়াকড়ি থাকলেও ৯ম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার জনসমাগম ও যানবাহন বেড়েছে।
সকাল থেকে নগরীতে যানবাহন বাড়তে থাকে। তবে জরুরী কাজের জন্য যারা বের হচ্ছেন তাদের অনেককেই টহল পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। বাহির হওয়ার ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ তাদেরকে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় সিএনজি অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি ও রিকশা বেলা বাড়ার সাথে সাথে সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যানবাহন আর জনসমাগম বাড়ায় নগরীর বন্দরবাজার, কালিঘাটসহ আশপাশ এলাকায় যানজট দেখা দেয়।
মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে আগে সচেতন হতে হবে। সেই সাথে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নগরীতে টহল পুলিশের কার্যক্রম চলছে। যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে।
নগরীর কালিঘাট, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, মদিনা মার্কেট ও আম্বরখানা এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জনসমাগম ও যানবাহন বাড়তে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর অলি গলিতে ভাসমান পণ্য বিক্রেতাদের তৎপরতা ছিলো আগের ৪ দিনের চেয়ে একটু বেশী। সেই সাথে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণস্থানে হকারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউনের ৯ম দিনে সিলেট মহানগরীর সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও বিপণীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ রয়েছে।