নগরীর দোকান পাট ও বিপণী বিতান খোলা থাকলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

50
দোকান-মার্কেট ও শপিং মল বন্ধের সময় সীমা বিকেল ৫টা পর্যন্ত হলেও নগরীর লতিফ সেন্টার খোলা ছিল রাত ৯টা পর্যন্ত। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর দোকান-পাট ও বিপণী বিতান খোলা থাকলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার পর গতকাল শুক্রবার থেকে খোলা হয় মহানগরীর বিভিন্ন বিপণী বিতান ও দোকান পাট। তবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দোকান পাঠ খোলা থাকলে লোক সমাগম ছিল কম।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, শপিং মল খোলার অনুমতি দেয় সরকার। গতকাল মার্কেট খোলার প্রথম দিনেই ক্রেতা-বিক্রেতা মুখে মাস্ক পড়ে ব্যবসা করছেন। ছবিটি বন্দরবাজার এলাকার হাসান মার্কেট থেকে তোলা।

এছাড়া দোকানপাট ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা থাকলেও অনেক ব্যবসায়ী বেশ রাত পর্যন্ত খোলা রেখে ব্যবসা করেছেন।
এর আগে লকাউন ঘোষণার পর জরুরী সেবা ছাড়া সব ধরণের বিপণী বিতান ও দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা দেয় সরকার। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। লকডাউন শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা। এই দাবিতে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মার্কেটের দোকানপাট খোলার নির্দেশনা দেয় সরকার।
তবে শুক্রবার বিকেলে নগরীর একাধিক বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। দোকানে বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক ছাড়া মার্কেটে প্রবেশ করছেন অনেক ক্রেতাও। সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। নগরীর আল হামরা, সিটি সেন্টার, মধুবন, ব্লু-ওয়াটার শপিং মল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে কয়েকটি শপিং মলে প্রবেশের ক্ষেত্রে জীবাণুনাশক দিয়ে ক্রেতাদের হাত ধোয়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় তেমন ছিলো না। শনিবার থেকে ক্রেতার ভিড় বাড়বে। স্বাস্থ্যবিধিও কড়াকড়িভাবে মানা হবে।