শমসেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কের বেহাল দশা

110

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর সড়কটি কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার লোক চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি সংস্কার না করায় যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরের ২০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দে ভরপুর। পিচ উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে ভরা এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল এখন অসহনীয় পর্যায়ে। সরেজমিন সড়ক ঘুরে এ চিত্র পাওয়া  গেছে। কুলাউড়ার চাতলাপুর চেকপোস্ট থেকে শমশেরনগর হয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদও পর্যন্ত সড়কটি যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে চলাচলের ক্ষেত্রে সড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। জেলার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী অন্যতম এ সড়ক দিয়ে কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার ১২/১৩ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ জেলায় যাতায়াত করছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
শমসেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কে চলাচলকারী যাত্রী মাহবুব চৌধুরী, প্রীতম কুমার দাশ, কলেজ ছাত্রী হেপী বেগম, সোমা সেন, ব্যবসায়ী আশরাফ হোসেন জানান, এই সড়কটির পিচ উঠে বড় বড় খানা-খন্দে রূপ নিয়েছে। সিএনজি অটোরিক্সায় চলাচল করলে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা লাগে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। বেহাল এই সড়ক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এজন্য এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সিএনজি চালক রনি মিয়া, আব্দুল মালিক, সুলতান মিয়া, ট্রাক চালক শাহাজান মিয়া জানান, রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে। তাছাড়া যে কোন সময় এই সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
সড়ক ও জনপথের মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ সড়কের বর্তমানের বেহাল দশার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অব্যাহতভাবে যানবাহন চলাচলে সড়কের পিচ ঢালাই উঠে গেছে এবং মাঝে মধ্যে গর্তেও সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা করেন অতি শীঘ্রই বরাদ্দ আসলে সড়কটির উন্নয়ন কাজ করা হবে। তখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।