কাজিরবাজার ডেস্ক :
আট সদস্য বিশিষ্ট ডি-৮ এর চেয়ারম্যান হয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ডি-৮ এর শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ আইয়েপ এরদোগান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চেয়ারম্যানশিপ হস্তান্তর করেছেন।
শীর্ষ সম্মেলনের পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আগামী দুই বছর ডি-৮ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ। আজকের সম্মেলনে ঢাকা ঘোষণা ও আগামী ১০ বছরের জন্য রোডম্যাপ গৃহীত হয়েছে।’
বাংলাদেশের সভাপতির মেয়াদে বাণিজ্য, পরিবহন, পর্যটন, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে বলে জানান মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বাণিজ্য ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি করতে চাই। ডি-৮ দেশগুলো ১১০ কোটি লোকের বাজার এবং এর পরিমাণ হচ্ছে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু আমরা নিজেদের মধ্যে অত্যন্ত কম বাণিজ্য করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে এবং এজন্য ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন চুক্তির বিষয়ে জোর দিয়েছে বাংলাদেশ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ তিনটি উদ্যোগ নিয়েছে এবং অন্য নেতারা সবাই প্রশংসা করেছে। ইয়ুথ সামিট, ডিজিটাল সম্ভাবনা ও অতিমারি পরবর্তী অবস্থা পর্যালোচনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনটি উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ।’
একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ই্য়ুথ সামিটের বিষয়ে অন্য নেতারা বলেছেন, এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি হবে এবং ডিজিটাল বিষয়াদী এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত করায় অন্যান্য নেতারা প্রশংসা করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কার্যকর সহযোগিতা, নারীর ক্ষমতায়ন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলাসহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেন বলে তিনি জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং দ্বিতীয় সম্মেলনে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তিনিই একমাত্র নেতা যিনি গত ২৪ বছর ধরে এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত আছেন এবং অন্যান্য দেশের নেতারা পরিবর্তন হয়েছেন।’
ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্থান ও তুরস্ক।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ডি-৮ এর চেয়ার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলের চেয়ার এবং পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের কমিটির চেয়ার হিসেবে আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন অংশগ্রহণ করেন।