কাজিরবাজার ডেস্ক :
সংসদ সদস্যদের সুপারিশে দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে ২০ কোটি টাকার আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরপর্বে দু’জন সংসদ সদস্যর প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সংসদ সদস্যদের সুপারিশ অনুযায়ী উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের লক্ষে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখে একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডির আওতায় সংসদ সদস্যদের সুপারিশ অনুযায়ী উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের লক্ষে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ একটি প্রকল্প চলমান আছে, যা জুন ২০২০ সমাপ্ত হবে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম অবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধিকাংশ এলাকায় অপরিকল্পিত নগরায়ণ হয়েছে। ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন উৎপাদিত কয়েক হাজার টন বর্জ্য সংরক্ষণ, অপসারণের লক্ষে নগরীতে কোথাও সুনির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ রাখা হয়নি। সিটি কর্পোরেশনকে বাধ্য হয়ে বর্জ্য সংরক্ষণ ও অপসারণের সুবিধার্থে রাস্তার পাশে কন্টেইনার/ডাস্টবিন স্থাপন করতে হচ্ছে।
তিনি জানান, রাস্তার উপরে স্থাপিত বর্জ্যবাহী কন্টেইনারসমূহ দ্রুত অপসারণের জন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায় হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনার আলোকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম একটি করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকায় ২৩টি এসটিএস নির্মাণ করা হয়েছে। নানা উদ্যোগের ফলে ফ্লাইওভারের নিচে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে পানি দ্রুত অপসারণ হয়ে জলাবদ্ধতা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।