হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও সিলেট জেলার সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা শায়খ মজদুদ্দিন আহমদ বলেছেন- উলামায়ে কেরামের রক্ত আর শাহাদাতের বিনিময়ে দু’শো বছরের গোলামীর জিনজির থেকে ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বৃটিশদের আগ্রাসন মুক্ত হয়েছিলো। যার ধারাবাহিকতায় ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদারদের মোকাবিলায় দেশের মুক্তিকামী জনতার বিজয় অর্জিত হয়। ইসলাম ও দেশ বিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এ দেশের আলেম উলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষ জীবন বাজি রাখতে কখনো পিছপা হয়নি। মুসলমানদের রক্তখেকো কসাই মোদির বাংলাদেশ আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন সংগ্রামে ১৭ জন আলেম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লির শাহাদাত বরণ তারই আরেকটি জলন্ত প্রমাণ। উলামায়ে কেরামের এই রক্ত আর শাহাদাতের বিনিময়ে এ দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের বিজয় তরান্বিত হবে।
২৯ মার্চ সোমবার বিকাল ৫ টায় হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও হরতালে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও আহতদের সুস্থতা কামনায় কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী দোয়া দিবস কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও সিলেট জেলার সিনিয়র সহ সভাপতি আল্লামা শায়খ মজদুদ্দিন আহমদের আহবানে সিলেট মহানগর হেফাজতের পক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জেলা হেফাজত নেতা ও নদওয়াতুল আযকার বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল হাদীর পরিচালনায় নগরীর জামেয়া নূরীয়া ইসলামিয়া ভর্থখলা মাদরাসায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা হেফাজতে ইসলাম নেতা ও জালালাবাদ ইমাম সমিতির সহসভাপতি মাওলানা কারী সিরাজুল ইসলাম, মহানগর হেফাজত নেতা অধ্যাপক মুহাম্মদ বজলুর রহমান, মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াস, মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা আব্দুল মালিক, মাওলানা নাজিম উদ্দিন, মাওলানা আতাউর রহমান, হাফিজ মাওলানা গোলাম মুস্তাফা, মাওলানা মাসুদ আহমদ, হাফিজ মাওলানা আবু তৈয়ব, মাওলানা আব্দুল মুকিত, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, মাওলানা কামরুজ্জামান, দক্ষিণ সুরমার বিশিষ্ট মুরববী আলহাজ মুজিবুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ আব্দুস সাত্তার ও শফিকুর রহমান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি