বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
খরতাপে দগ্ধ বোর ফসলি হাওরে চৈত্রের বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলছে কৃষকদের। মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাহিরপুর উপজেলার হাওরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় নামলো স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজলো দীঘর্ খরায় চৌচির জমির মাঠি। ফসলের মুখে হাটাৎ বৃষ্টিতে কৃষকের মনে দেখা দিলো হাসির ঝিলিক। এ বৃষ্টি হাওরে যেমন বোরো ফসলের উপকার হবে তেমনি রবি শস্য সহ আম, কাঁঠাল, লিচু সহ অন্যান্য ফলের ও উপকার হবে। তাই এ স্বস্তির বৃষ্টিতে হাওরের জমি যেমন ভিজেছে তেমনি কৃষকরে মনও ভিজেছে।
উপজেলার ছোট বড় ২৩ টি হাওরে সেচ সুবিধা না থকা সেই সাথে দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষক চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছিলো। ধান বের হওয়ার আগেই পানির অভাবে ধানের সবুজ পাতা গুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করছিলো। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার মধ্য রাতে হঠাৎ বৃষ্টিতে কৃষকরে মনের হতাশা দূর করেছে। কৃষকরা আশা করছেন চলতি বছরও বোরো ধানের ফলন ভালো হবে।
উপজেলার শনি হাওর পারের গ্রাম নোয়ানগর। গ্রামের কৃষক আব্দুল কদির তিনি বলেন, দীর্ঘ দিনের খরায় জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টিতে বোরো ফসলে জন্য খুব ভালো হয়েছে। তাছাড়া একাধিক কৃষক জানান এ বৃষ্টিতে ধানে চিঠা কম হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিমা বেগম বলেন, পানির অভাবে হাওর পারের কৃষকদরে মনে অশান্তি বিরাজ করছিলো। বৃষ্টি হওয়াতে তারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ-দৌলা বলেন, উপজেলার অনেক হাওরে সেচ সুবিধা নেই। যথা সময়ে বৃষ্টি হয়েছে। এবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলন আশা করছি।