দিরাইয়ে খাস জমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৫০

7

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় সরকারি খাস জমির দখল নিয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত শাহ মুল্লুক (৪৫) নুরনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র। সংবাদ পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নুরনগর গ্রামের তোফাজ্জুল, শামসুল ইসলাম, সফর আলী, সিরাজুল ইসলাম, লুৎফুর রহমান, ইউসুফ মিয়া, আব্দুল বারিক, আবুবক্কর সিদ্দিক কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরনগর গ্রাম সংলগ্ন পিয়াইন নদীর উত্তর পাড়ে জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের শামিপুর মৌজার ১ নং খতিয়ানের সাবেক ২৫২ দাগের লায়েক পতিত জমি নূরনগর গ্রামের জামাত নেতা শাহ আলম সাব্বির ও তার গোত্রীয় লোকেরা সম্প্রতি অবৈধ ভোগদখলে নিয়ে জমি আবাদ কেেরছেন। গ্রামের প্রতিপক্ষ ফিরোজ মিয়া ও তার গোত্রীয় লোকজন উক্ত খাস খতিয়ানের জায়গায় দীর্ঘদিন যাবৎ গরু চড়াতে গেলে জামাত নেতার গোত্রীয় লোকজন স্থানীয় কৃষকদের গরু ধরে নিয়ে যায় এবং প্রতিপক্ষের উপর একাধিকবার হামলা চালায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গত ৬ মাস যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলছিল। শনিবার খাস খতিয়ানের জায়গায় গরু চড়ানোর ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে শাহ আলম ছাব্বির পক্ষের শাহ মুল্লুক (৪৫) দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে আহত হলে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পর মারা যায় শাহ মুল্লুক। এ খবর ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়লে শাহ আলম সাব্বির ও তার গোত্রের লোকজন প্রতিপক্ষের নারী ও শিশুদের উপর বেপরোয়া হামলা চালায় ও বাড়ীঘর লুটতরাজ করে। প্রতিপক্ষের শতাধিক গরু বাছুর ভেড়া ছাগল ও হাসমুরগী ধরে নিয়ে যায়। দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থলে অবস্থানরত এসআই আজিজ ৩ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটককৃতরা হলেন, নুর নগর গ্রামের জমশেদ মিয়া, নাঈম মিয়া ও মুনসুর আহমেদ। সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম বলেন, প্রয়োজনে এক সপ্তাহ যাবৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। কিন্তু খাসজমি নিয়ে কাউকে আর হানাহানি করতে দেয়া হে বনা।