হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

7

স্টাফ রিপোর্টার :
গোলাপগঞ্জে রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার ইদ্রিস আলী হত্যা মামলায় এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অপর জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ বছরের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবাল (২ মার্চ) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক মো: ইব্রাহিম মিয়া এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম, ইমন (২৫)। সে গোলাপগঞ্জ থানার ঢাকা দক্ষিণ এলাকার উত্তর রায়গড় গ্রামের মৃত বাখর মিয়ার পুত্র আর অপর খালাসপ্রাপ্ত একই এলাকার ফটিক মিয়ার পুত্র লিটন (২২)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৫ মে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গোলাপগঞ্জ থানার উত্তর রায়গড় গ্রামের মৃত মাহমদ আলীর পুত্র ইদ্রিস আলী (৬০) ঢাকা দক্ষিণ বাজারে রাজমিস্ত্রির ঠিকাদারের কাজ শেষে বাজারে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ করে বাড়িতে রওয়ানা হন। গোলাপগঞ্জ থানার শিলঘাট রায়গড় এলাকায় পৌছামাত্র আসামী ইমন ও লিটন পূর্ব শক্রতার জের ধরে ইদ্রিস আলীর উপর হামলা চালায়। এ সময় ইমন ‘দা’ দিয়ে তার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত ইদ্রিস আলী পুত্র মো: লিকন আহমদ বাদি হয়ে ইমন ও লিটনকে আসামী করে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৩ (০৮-০৫-২০০৯)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোলাপগঞ্জ থানার এসআই মো: ফিরোজ আহাম্মদ একই বছরের ৩০ আগষ্ট ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র নং-১৪৮) দাখিল করেন এবং ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আদালতে এ মামলার বিচারকার্য্য শুরু করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী ইমনকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করা হয় এবং অপর আসামী লিটন এর দোষ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিন ও আসামীপক্ষে এডভোকেট গোলাম এহিয়া চৌধুরী মামলাটি পরিচালনা করেন।