করোনা মহামারি রোধে আজ থেকে শুরু হচ্ছে টিকা দান কার্যক্রম, সর্বত্র দুর্নীতিমুক্ত দক্ষতার মাধ্যমে সকলের জন্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। টিকার ব্যাপারে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সর্বত্র প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। দেশব্যাপী জনস্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে মাইকিং করে, সাধারণের মধ্যে সকল প্রকার দ্বিধা দূর করার পদক্ষেপ নিতে হবে। মহামারি করোনার ভ্যাকসিন টিকা দানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে পৌঁছে গেছে। স্থানীয় মেডিকেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে সাধারণ মানুষকে টিকা দান কার্যক্রম শুরু হবে।
দেশে করোনা মহামারির প্রকোপ হ্রাসের পথে হলেও আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে এক সাথে একযোগে করোনার ভ্যাকসিন টিকা দেয়া শুরু হওয়ার কথা। দেশব্যাপী কয়েক কোটি মানুষকে যথাসময়ে টিকা দান শুরু ও সম্পন্ন করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমাদের দেশ বিশ্বে ইপিআই বা শিশুদের সম্প্রসারিত টিকা দান কার্যক্রম বাস্তবায়নে অত্যন্ত সফল একটি দেশ। বাংলাদেশে এ সাফল্য বিশ্বব্যাপী যেমন স্বীকৃত, তেমনি এর ফলে দেশে শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হারও কমেছে।
বাংলাদেশের মানুষ নতুন কিছু এবং সফলতা নিয়ে অনিশ্চতার মধ্যে থাকলে তাতে সহজে আগ্রহ হয়না, তবে পরবর্তিতে ফলাফল দেখে খুব সহজেই সকল প্রকার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর হয়। তাই প্রয়োজন বেশী করে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে ভ্যাকসিনের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত করানোই হচ্ছে বড় বিষয়। শুধু আমাদের দেশের মানুষ নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশে ও করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও অনীহা ছিল। দেশে করোনা মহামারির প্রকোপে অনির্ধারিত মানুষের মৃত্যু ঘটছে, মৃত্যুর সংখ্যা কম নয়, এত প্রকোপের মধ্যে লকডাউন মানতে রাজি নয়, তেমনি সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে চলাচল করছে। আমাদেরকে যথারীতি স্বাস্থ্য বিধি না মানায় মহামারি করোনায় আক্রান্তের শিকার হতে হচ্ছে।
আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে বাহির থেকে আগতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ করোনার ভ্যাকসিন গ্রহন করার বিকল্প নেই। আসুন আমরা করোনা মহামারির হাত থেকে রেহাই পেতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি মেনে চলি।