কাজিরবাজার ডেস্ক :
পূর্ব ইউক্রেনের কিয়েভ শহরের দোতলা একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈদ্যুতিক হিটারের অসাবধানবশত ব্যবহারের কারণে লাগা এই ঘটনায় আরও ১১জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের ইমার্জেন্সি সার্ভিসের বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আগুন লাগার সময় ওই ভবনে ৩৩ জন ছিলেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভেøলাদোমির জেলেনস্কি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা প্রার্থনা করি আর যেন কারও মৃত্যু না হয়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানান তিনি।
আগুন লাগার পর আহত কয়জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, নয়জনকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের জোলোতয়ি ভ্রেমেয়া নামে ওই ভবনটি ব্যক্তিগত আবাসিক এলাকা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। তবে আবাসিক ভবন হিসেবে রেজিস্ট্রেশন ছিল না। আগুনে এ মৃত্যুর ঘটনায় দেশটিতে শুক্রবার ‘শোকের দিন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশ ওই ভবনের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ভবনের মালিককে গ্রেফতার করা হতে পারে। ওই বাসায় ২৫ বছর থেকে ৯০ বছরের ব্যক্তিরা থাকতো। ইউক্রেনে আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়। পুরাতন এবং নিম্নমানের স্থাপনার কারণে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালে দেশটির ওডেশার ব্লাক সি শহরে এক আগুনে ১৬জন নিহত হন। একই বছর ওডেশার একটি হোটেলে আগুনে নয় জনের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালে মে মাসে রাজধানী কিয়েভে বয়স্কদের জন্য নির্মিত একটি অস্থায়ী ভবনে আগুনে ১৭ ব্যক্তি নিহত হন।