স্টাফ রিপোর্টার :
মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের দায়েরকৃত মামলায় ধর্ষক ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার প্রথমে কুশিঘাট থেকে সহযোগীকে ও পরে গোটাটিকর থেকে ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মোগলাবাজার থানার গঙ্গানগর গ্রামের ছানা মিয়ার পুত্র ধর্ষক ইকবাল হোসেন (২২) ও তার সহযোগী বালাগঞ্জ উপজেলার নসিয়ারপুর গ্রামের ইফতেখার হোসেনের পুত্র বর্তমানে গঙ্গানগর ফখরু মিয়ার বাসার বাসিন্দা কামরান হোসেন (১৮)।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, গতকাল শুক্রবার ধর্ষক ইকবাল ও তার সহযোগী কামরানকে বৃহস্পতিবার ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মহানগরীর শাহপরান এলাকার এক তরুণীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন ইকবাল হোসেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে গত বুধবার ওই তরুণীকে শাহপরানের কুশিঘাট এলাকায় নিয়ে আসেন তিনি। সেখান থেকে তাকে কামরানের সহায়তায় তার বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন ইকবাল। তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ইকবাল হোসেন পালিয়ে যান। এসময় জনতার সহায়তায় ইকবালের সহযোগী কামরানকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষণের ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (নং-১০) মামলা হয়। ওই দিনই কামরানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে গোটাটিকর থেকে ওইদিন রাতে পুলিশ ধর্ষক ইববাল হোসেনকে গ্রেফতার করে গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকেও কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে মোগলাবাজারের গোটাটিকর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
