নারী-শিশু নির্যাতন

14

সারাদেশে প্রতিনিয়ত নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু ধর্ষণের অব্যাহত ঘটনাবলীর কারণে সাধারণ মানুষ হতাশায় ভুগছেন। নারী-শিশু নির্যাতন আর ধর্ষণের ঘটনার জন্যে দায়ীদেরকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা প্রয়োগ না করায়, এ অপকর্মকারীদের অপকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদের রুখতে হলে যথার্থভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক তথ্য বিবরণীতে জানা যায়; গত ২০২০ সালে সারা দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৪৪০জনের চেয়ে বেশি। এদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৩৬ জন, গণধর্ষণে ৩৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ও ৩জন, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৩৪৬ জন আর ২শ’ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
শুধু শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ৪৩ জন, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৭৪ জন। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন ২৫ জন, তন্মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন ২৯ জনের তন্মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। উত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৫৯ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ১২৫ জন, পাচারের শিকার হয়েছেন ১০১ জন, এদের মধ্যে ৪ জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়।
এ ছাড়া ও ৩৫ জনকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়, যৌতুকের কারণে ১১৭ জনকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, এদের মধ্যে ৫২ জনকে হত্যা করা হয়েছে, ১৫৯ জনকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ২৫২ জন নারী-শিশুর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি, তন্মধ্যে বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি।
বিশেষজ্ঞমহলের মতে; দেশে অব্যাহত অপকর্ম রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ নারী-শিশুর নিরাপাত্তার বিধানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার বিকল্প নেই।