আমাদের দেশের নদ-নদী সমূহ অনেক যুগ পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টির পরই দেখা দেয় সর্বত্র জলাবদ্ধতা ও অকাল বন্যার ফলে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না।
প্রতি বর্ষা মৌসুমে সর্বত্র জলাবদ্ধতা আর অকাল বন্যা দেখা দিলে সকল মহলের মধ্যে দেখা দেয় যত প্রকার আলোচনা-সমালোচনা। বর্ষা মৌসুম চলে গেলে বন্যাকালিন সময়ের দুর্ভোগের কথা ভুলে যান। কোনো মহলের মাথা ব্যথা থাকে না, তাই বর্ষার সময়ের মানুষের চরম ভোগান্তি দূরীকরণের ব্যবস্থার কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হয় না।
আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ, জালের মত বিছিয়ে রয়েছে, হাজার-হাজার নদী, খাল-বিল, হাওর-বাওরের দেশ হিসাবে অনেক খ্যাতি ও রয়েছে। আদিকালে প্রতিটি নদী ও বড়-বড় খালের তীরে গড়ে উঠেছিল শহর-বন্দর, গঞ্জসহ সর্বপ্রকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র। সারাদেশ ছিল নৌপথে সকল প্রকার আমদানি-রফতানি, ছিল জাহাজ-বড়-বড় পালতুলা নৌকা, নদ-নদী বিশাল আকারের খাল-নালা গুলো ব্যবসা-বাণিজ্যের একমাত্র যোগাযোগের সুব্যবস্থা। কিন্তু কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার পরশে সড়ক ও রেল পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রাচীন যুগের যোগাযোগ ব্যবস্থা নৌপথের কোনো উন্নয়নে কেহ ভাবছেন না। অথচ এখনও দেশের বৃহত্তর অঞ্চল নৌপথে চলাচলের কোনো বিকল্প নেই।
সারাদেশের মত আমাদের সিলেট অঞ্চলের বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে, যে গুলো যুগ-যুগ ধরে সংস্কারের অভাবে ভরাট হয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলের প্রধান নদীর মধ্যে কুশিয়ারা ও সুরমা প্রধান দু‘টো নদীসহ হাজারো শাখা নদী, খাল-বিলের তলপেট ভরে গিয়ে বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা ঢলের পানি ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
প্রচন্ড বন্যা আর পাহাড়ি ঢলের জলাবদ্ধতা থেকে দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে এ শুকনো মৌসুমে সিলেটসহ দেশের নদ-নদী গুলো খনন করা খুবই জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।