দেশের প্রতিটি পণ্যের বাজারে প্রতি মৌসুমে নতুন-নতুন ব্যবসায়ীদের মুখ দেখা যায়, যা সারা বছর হাট-বাজারে দেখা যায় না। এ সব মৌসুম এলেই মাঠে-হাট বাজারে দেখা যায়। এরা সাধারণত; ঈদ মৌসুম, ধর্মীয় কোনো প্রকার উৎসবকালীন ছাড়াও যে কোনো ধরনের ফসল উঠার সময়ে, শীতকালে শীতের কাপড় ব্যবসায়ীদের জমজমাট উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশে প্রতি বছর ধান উঠানোর সময় মাঠে-ঘাটে এ সব মৌসমী ব্যবসায়ীদের ফড়িয়া ও দালালসহ গ্রামের হাট-বাজারের কোনো এক জায়গায় বসে থেকে তাদের মাধ্যমে অবাদে ধান ক্রয় করে গুদামজাত করার চেষ্টা করে থাকে। শুধু ধান সংগ্রহের সময় নয়, এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বছরে যে সব সময়ে মৌসুমী ফসল উৎপাদন করা হয় এবং তুলার সময়ে তাদের ফড়িয়া ও দালাল দ্বারা মাঠ থেকে সংগ্রহ করে ফেলায় বাজারে সব ধরনের মৌসুমী ফসলের কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে ক্রেতাদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দিয়ে ফায়দা আদায় করে।
দেশে এমনিতেই গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর বার-বার বন্যার আঘাতে ধানের উৎপাদন হয়নি। কিন্তু ধানের বাজারে কিছু-কিছু নতুন-নতুন মৌসুমী ব্যবসায়ী যাদের কাছে নগদ অনেক টাকা আছে, তাদের অতিরিক্ত টাকা এরাই বাজারে ধান-চালের দাম বৃদ্ধি করছে। ফলে তাদের এ অবৈধ ভাবে ধান-চালের মজুদ করার কারণে, এ ভরা মৌসুমে ধান চালের দাম না কমার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে; বাজারে অব্যবসায়ীরা বাজার কট্রোল করছে, বর্তমানে দেশের বড়-বড় প্রায় সতেরটি কোম্পানির মাধ্যমে ধান-চালসহ অন্যোন্য পণ্যে ক্রয় করে মজুদ করছে। এখন বাজারে শুধু মিলার নয়, বিভিন্ন কর্পোরেটরা রয়েছে, তারা ব্যাংক থেকে বিনাসুদে টাকা নিয়ে সাধারণত; অব্যবসায়ীরা ব্যবসায় আসায় ধান-চালসহ মানুষের নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে তাদের পকেট ভরছে।
দেশবাসি মনে করেন ব্যবসাকে প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে ব্যবসা করার স্বার্থে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের পণ্যে মজুদের অপতৎপরতা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা করার জন্যে পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন।