তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারী মোবাইল নাম্বার ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে প্রতারক চক্রের সদস্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সরকারী ল্যাপটপ বিতরণের কথা বলে এক শিক্ষকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিলো ৭ হাজার টাকা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, একটি প্রতারক চক্র উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারী মোবাইল নাম্বার (০১৭৩৬০১১৪৬৬) ক্লোন করে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী জাহানকে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে (০১৭৮৩৩৮৭০০৩ ) ফোন দেয় বুধবার সকালে।
সে সময় প্রতারক চক্রের সদস্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৭টি ল্যাপটপ বিতরণ করা হবে বলে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ফোন দেয় এবং শিক্ষকদেরকে ঐ নাম্বারের সমস্যা আছে বলে নতুন অন্য একটি নাম্বারে (০১৯০৫০৮১০০৮) যোগাযোগ করতে বলে শিক্ষা কর্মকর্তাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সোহালা, পাতারগাঁও, বড়দল সহ ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নতুন নাম্বারে যোগাযোগ করতে বললে, উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বড়দল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন ল্যাপটপের আশায় ২ টি নাম্বারে (০১৭৭৩৭৬৭২১৫ ও ০১৮৩৭৭৯৯৯৮০ )যথাক্রমে ৫শ ও ৬ হাজার ৫ শ টাকা করে মোট ৭ হাজার টাকা বিকাশ করেন। এ সংবাদ পাওয়ার পর শিক্ষা কর্মকর্তা আবারো ইউএনও এর কাছে ফোন দিয়ে শিক্ষকরা ফোন দিয়েছিল কি-না বিষয়টি জানতে চাইলে উনি নির্বাহী অফিসারের সরকারী নাম্বারে উনার ব্যক্তিগত নাম্বার (০১৭৮৩৩৮৭০০৩) থেকে কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি উনার অন্য একটি নাম্বারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান তিনি সকাল বেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কিংবা কোন শিক্ষককে ফোন দেন নি এবং কোন শিক্ষকের ফোনও তিনি পান নি।
এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, আমাকে শিক্ষা স্যার ফোন দিয়ে বললেন ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলতে। আমি স্যারের কথা মত ফোন দেই। সে সময় স্যার আমার কাছে ল্যাপটপের জন্য সাত হাজার টাকা চাইলে আমি তড়িঘড়ি করে ৭ হাজার টাকা বিকাশ করে দেই।
পাতারগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার রায় বলেন, ইউএনও স্যারকে ফোন দেয়ার আগেই জানতে পারলাম প্রতারক চক্র ইউএনও স্যারের সরকারী নাম্বার ক্লোন করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী জাহান বলেন, ইউএনও স্যারের সরকারী নাম্বার থেকে ফোন পাওয়ার পর শিক্ষকদের বলি স্যারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর বলেন, ইউএনও স্যারের নাম্বার ক্লোন করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র, বিষয়টি আমরা দেখছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার নাম্বার ক্লোন করে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোন দিয়েছে প্রতারক চক্র।