কাজিরবাজার ডেস্ক :
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা কোভিশিল্ড সরকারি কর্মসূচির বাইরে বেক্সিমকো ফার্মা বেসরকারিভাবেও বিক্রি করবে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে সেক্ষেত্রে সেরামের নির্ধারণ করে দেয়া মূল্যেই টিকাটি নিতে হবে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশে সরকারিভাবে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর খ্যাতনামা ওষুধ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারিভাবে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টিকা বিক্রি করবে। পরের দুই ধাপে ১০ লাখ করে ২০ লাখ অর্থাৎ মোট ৩০ লাখ ডোজ টিকা বিক্রি করবে বেক্সিমকো।
এ জন্য সরকারি কর্মসূচির বাইরে বিক্রির জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ৩০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন অতিরিক্ত কিনছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই পরিমাণ টিকা আনতে প্রতিটি ডোজের জন্য সেরামকে ইনস্টিটিউটকে আট ডলার করে পরিশোধ করতে হবে বেক্সিমকোকে।
রয়টার্সকে বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানান, সরকারি টিকাদান কর্মসূচির জন্য বেক্সিমকো বছরের প্রথমার্ধে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। সরকারের কাছে ও বাজারে বিক্রির জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট এ মাসের শেষ দিকেই টিকা সরবরাহ শুরু করবে। টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মাঝে বিরতি দিয়ে ভ্যাকসিনটির দুটি ডোজ নিতে হবে।
আর আগামী মাস থেকে দেশে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন বিক্রি শুরু করবে বেক্সিমকো। সে লক্ষ্যে সেরামের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ ডোজ আনা হচ্ছে। পরের ধাপে আরও ২০ লাখ ডোজ আসবে। বেসরকারিভাবে এ ভ্যাকসিন প্রতি ডোজ ১ হাজার ১২৫ টাকা (১৩.২৭ ডলার) মূল্যে বিক্রি হবে বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন বেক্সিমকোর এ কর্মকর্তা।
তবে, বাংলাদেশ সরকার ভ্যাকসিন দেয়া কর্মসূচির শুরুর আগে বেক্সিমকো বেসরকারিভাবে টিকা বিক্রি শুরু করবে না বলে জানান রাব্বুর রেজা।
তিনি আরও জানান, টিকা কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউট ছাড়াও ভারত সরকার অনুমোদিত ‘বায়োলজিকাল-ই’ এবং ‘ভারত বায়োটেকে’র মতো অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা করেছে বেক্সিমকো।