পৌষ সংক্রান্তিতে এবারও লালবাজারে মৎস্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়

36

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজারস্থ লালবাজারের মৎস্য মেলায় এবারও উঠেছে ‘ময়ূরপঙ্খী’ সমুদ্রিক মাছ। মাছটি কেটে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা। বিশালাকৃতির ‘ময়ূরপঙ্খী’ নামক সামুদ্রিক প্রজাতির ৩টি মাছ উঠেছে বন্দরবাজারের লালবাজারে আয়োজিত মেলায়।
বন্দরবাজারের লালবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি’র উদ্যোগে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী মাছের মেলার শেষ দিন ছিলো বুধবার (১৩ জানুয়ারি)। গত ১১ জানুয়ারি মেলাটি শুরু হয়। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করেন ‘লালবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি’র নেতৃবৃন্দ। মেলায় হাওর ও নদীতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠা নানা প্রজাতির দেশি টাটকা মামাছের পাশাপাশি পরিচিত-অপরিচিত নানা প্রজাতির মাছ কিনতে ক্রেতারা গত তিনদিনই ভিড় জমান।
গতকাল বুধবার মেলাটি ঘুরে দেখা গেছে, মেলার আকর্ষণ ছিলো চট্টগ্রামের সামুদিক মাছ ময়ূরপঙ্খী। আব্বাস উদ্দিন নামের এক বিক্রেতা এ প্রজাতির মাত্র ৩টি মাছ এনেছেন মেলাতে। এর মধ্যে ২টি বিক্রি হয়ে গেছে গত দুইদিনে। বুধবার তৃৃতীয়টি সাজিয়ে রেখেছেন থালায়।
আব্বাস উদ্দিন বলেন, বিরল প্রজাতির ময়ূরপঙ্খী মাছ মাত্র ৩টি এনেছিলাম সিলেটে। সিলেটে এ মাছ সচরাচার পাওয়া যায় না। ময়ূরপঙ্খী কেটে প্রতি কেজি মাছ বিক্রি করছি এক হাজার টাকা করে। তবে প্রথমটি কেটে একহাজার টাকা করে বিক্রি করলেও দ্বিতীয় পুরো মাছই নিয়ে গেছেন একজন ক্রেতা। মাছটি ছিলো ১৮ কেজি। ১৫ হাজার টাকায় নিয়ে গেছেন তিনি। আর প্রথম মাছের ওজন ছিলো ৪২ কেজি। সেটি কেটে ৪২ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আব্বাস উদ্দিন বলেন, তৃতীয় ময়ূরপঙ্খীর ওজন ২৫ কেজি। এটিও কেটে বিক্রির ইচ্ছে আছে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, ময়ূরপঙ্খী ছাড়াও ছিলো বিশাল আকৃতির বোয়াল, রুই, কাতলা, কালিয়া, বাঘ, আইড়, রূপচাঁদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এছাড়াও মেলায় বিক্রেতারা সাজিয়ে রেখেছেন নদী ও হাওড় থেকে আহরণকৃত সুস্বাদু ছোট মাছ।
ফখরুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা জানান, হাওর ও নদীতে বেড়ে উঠা ফরমালিনমুক্ত টাটকা মাছ কিনতে তিনি এ মেলায় এসেছেন। এছাড়াও অনেকেই এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে মাছ কিনতে। গতকাল বুধবার শেষ দিন হওয়ায় গত ২ দিনের চেয়েও এদিন মেলায় ছিলো ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের বেশি ভিড়।