কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করতে অনুমোদনের জন্য আগামী মন্ত্রী সভায় একটি অধ্যাদেশ উঠতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রী সভার বৈঠকে অধ্যাদেশ অনুমোদন হওয়ার পর সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ফল ঘোষণা করা হবে।
আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ফল প্রকাশ হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শনিবার (৯ জানুয়ারি) বলেন, অধ্যাদেশটি আগামী সোমবার মন্ত্রী সভায় অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির অনুমতির জন্য পাঠানো হবে। এরপর অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
অধ্যাদেশ জারির পর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে ফলাফলের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ফলাফল হস্তান্তর ও দিক নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এজন্য ফলাফলের তারিখ এখনই জানা যাচ্ছে না।
করোনা মহামারির কারণে এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নিয়ে এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
গত ৭ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এবার এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। এজন্য অধ্যাদেশও জারি করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে। এজন্য জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে ফল ঘোষিত হবে।
‘পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০’ অনুযায়ী দেশে পাবলিক পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠান ও ফল প্রকাশসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সংসদ অধিবেশন না থাকায় আইন সংশোধনে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের আইন অনুযায়ী, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, খাতা মূল্যায়ন করে ফলা ফল দেওয়া হবে। এসবের কোনোটাই হয়নি। সঙ্গত কারণেই কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে অর্ডিন্যান্স জারি ছাড়া উপায় নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম (পরীক্ষা ছাড়া ফল)। আগামী ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অধ্যাদেশ অনুমোদন হতে পারে। অর্ডিন্যান্স জারি হলেই ফল দেব। আমাদের কাজ কাজ শেষের দিকে।
শিক্ষার্থীরা এসএমএস, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গতানুগতিক ধারায় ফল পাবে বলে জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমিরুল।