কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিল্প নগরীখ্যাত ছাতক পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ব্যানারে এই দু’জন নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে দুই প্রার্থীর জমা দেওয়া হলফনামায় আওয়ামী লীগের মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরী সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। তবে শিক্ষার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী রাশিদা বেগম ন্যান্সি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখানো হয়েছে এমএসএস পাস।
আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী চতুর্থবারের মতো মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার হলফনামা থেকে জানা যায়, ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি তার জন্ম। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার মালিকানায় রয়েছে এ কে ফিলিং অ্যান্ড সিএনজি স্টেশন। কৃষি খাতে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। ব্যবসায়িক খাতে বছরে আয় করেন এক কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার ২১২টাকা। তার শেয়ার/সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত ডিডিএস তিনটি এক কোটি ২৬ লাখ এবং এমএসডিএস দুটি এক কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৮২৯ টাকা।
এবি ব্যাংকে ডিডিএস আয় ৭০ লাখ ৮১১ এবং মেয়র হিসেবে সম্মানী ভাতা চার লাখ ৮০ হাজার টাকা। নগদ তিন লাখ টাকার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ দুই কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার ২৫৯ টাকা। তার মালিকানাধীন একটি টয়োটা কার ও দুটি ট্রাক্টর এবং একটি পিস্তল ও বন্দুক রয়েছে।
স্থাবর সম্পদের হিসাবে মেয়র কালাম চৌধুরীর কৃষিজমির পরিমাণ ১২০.৩০ শতক এবং অকৃষি জমির পরিমাণ ২৫৫.৪৭ শতক। পাশাপাশি যৌথ মালিকানাধীন ৭তলা বিল্ডিং ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। হলফনামায় দায়দেনার বিবরণীতে এবি ব্যাংকে সিসি লোনের পরিমাণ ৪৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৮ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী রাশিদা বেগম ন্যান্সি পেশায় একজন গৃহিণী। তিনি প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক নিয়ে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিয়েছেন। তার জন্ম ১৯৭৭ সালের ১ জুলাই। তার নামে নেই কোনো শেয়ার/সঞ্চয়পত্র। তার নগদ অর্থের পরিমাণ মাত্র ৬০ হাজার টাকা। তার ২৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ রয়েছে ফ্রিজসহ অন্যান্য আসবাবপত্র। কৃষি-অকৃষি কোনো জমি নেই তার নামে। স্থাবর সম্পদের হিসাবে তার একটি বাড়ি দেখানো হয়েছে হলফনামায়। তার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়দেনা এবং কোনো মামলাও নেই। তিনিও শহরের বাগবাড়ী মহল্লার বাসিন্দা।
দুই মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৩৩ সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।
ছাতক উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজুর রহমান জানান ছাতক পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন মোট ৩০ হাজার ২৭৮জন। আগামী ১৬ জানুয়ারি ১৯টি কেন্দ্রের ৭৭টি ভোটকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ছাতক পৌরসভা নির্বাচন।