বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কের ফুটপাত এখনও হকাররা

12

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়ক ও ফুটপাতকে ভাসমান ব্যবসায়ীমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। এই সড়ক ও ফুটপাতকে দখলমুক্ত রাখতে এখানকার হকারদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নগরীর লালদীঘির পারে খোলা মাঠে পুনর্বাসনের করা হয়ে সহস্রাধিক হকারকে। সিসিক ও এসএমপির এই উদ্যোগে সফলতাও মিলেছে। তবে সিসিক ও এসএমপির উদ্যোগের পর কৌশল পাল্টে এখনও এই সড়ক ও ফুটপাতে রয়েছে গেছেন কিছু সংখ্যক হকার।
মঙ্গলবার বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো ফুটপাত ও সড়ক দখল করে হকারদের ভিড় নেই। ফুটপাত অনেকটাই ফাঁকা। আগে ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কেরও অর্ধেকটা জুড়ে ছিলেন ভাসমান ব্যবসায়ীরা। এদের কেউ কেউ ঠেলা-ভ্যান নিয়ে সড়কে ব্যবসা করতেন আবার কেউ কেউ ফুটপাতে পণ্যের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করতেন। অবশ্য মঙ্গলবার এরকম ব্যবসা করতে দেখা যায় নি কাউকে। তবে এই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় হাতে করে পণ্য নিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায় ভাসমান ব্যবসায়ীদের।
নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাতে করে মোজা, টুপিসহ শীতকালীন পেষাক বিক্রি করছেন এক ব্যক্তি। একটু দূরে আরেকজন দাঁড়িয়ে টাওয়াল বিক্রি করতে দেখা যায়। এই সড়কে পুলিশ বা সিটি করপোরেশনের কোনো টিমকে দেখলেই দৌড়ে পার্শ্ববর্তী গলি বা মার্কেটে ঢুকে পড়ছেন তারা। আবার পুলিশ চলে গেলেই চলে আসছেন সড়কে।
বন্দরবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটি টেম্পুতে বসে আছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাদের সামান্য দূরেই ফুটপাতে দাঁড়িয়ে গামছা টাওয়াল বিক্রি করছেন এক ব্যক্তি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমরা পেটের দায়ে পুলিশ ও সিটি করপোরেশেনর দৌড়ানি খেয়েও এখানে ব্যবসা করতে আসি। লালদীঘির পাড়ের মাঠে জায়গা পাননি বলে জানান এই ব্যক্তি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিসিক ও পুলিশের অভিযানের পাশাপাশি সড়ক হকারমুক্ত রাখতে নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। সড়ক ও ফুটপাত থেকে পণ্য কিনে নেওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে।
মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ বলেন, বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়ক এখন অনেকটাই হকারমুক্ত। এই সড়কে সার্বক্ষণিক পুলিশ নজরদারিতে রয়েছে। কাউকেই সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।