কাজিরবাজার ডেস্ক :
জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন, জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছেন আব্দুল মালেক ফারুক। তবে এখনো বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। জকিগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী নিয়ে সিনিয়র নেতারা অনেকটা বেকায়দায় রয়েছেন। বিদ্রোহীর ঝট ভেঙ্গে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দফায় দফায় বৈঠক চলছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিএনপির দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে রয়েছেন চারজন।
তাঁরা হলেন- পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার, পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক বদরুল হক বাদল, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন হীরা, মহিলা দলের নেত্রী সাবেক কাউন্সিলর হোসনে জাহান রীনা।
দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাই কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ে শেষ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন শক্ত লবিং তদবির। দলীয় টিকেট পাওয়া যেন অস্তিত্বের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ-কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দুএকজনের সমর্থনে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সভা ও উঠান বৈঠক তো চলছেই। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে যেকেউ বিদ্রোহী হয়ে মাঠে থাকারও আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
পৌরসভা বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাথে কথা বলে জানান, দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে জেলা শাখার সিনিয়র নেতারা জরিপ করেছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত ও জনপ্রিয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। আজ-কাল নাগাদ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে কেউ কেউ দলীয় সমর্থন পাওয়ার আগেই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, মনোনয়ন নিয়ে হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দ তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব না দিলে এবারের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিদ্রোহীর চাপে থাকার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।