মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত গণমাধ্যম

34

বিশ্বে অতি মহামারিতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট শহরের গণমাধ্যম গুলো, ‘বিশ্বজুড়ে প্রায় সতের হাজার এবং বাংলাদেশে ষাট শতাংশ স্থানীয় গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বেড়েছে সেন্সরশিপ ও সাংবাদিক নিপীড়ন। মহামারি করোনা শুরু থেকে সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের ওপর যে ধস নেমে এসেছে, তার কুফল হিসাবে সংবাদ প্রকাশে বাধা সৃষ্টি সংবাদ সংগ্রহে অতিরিক্ত ব্যয়। বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৮৫ জন সাংবাদিক। এসব সাংবাদিকরা বিভিন্ন ধরনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন হামলার শিকার হতে হয়েছে।
বিশ্বের বড়-বড় শহরের বিখ্যাত গণমাধ্যমের সাথে ছোট-ছেট শহরের গণমাধ্যম গুলোর কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এ মহামারির সময়ে প্রায় ষাট শতাংশ পর্যন্ত সংবাদ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের বিখ্যাত অনেক নামী-দামি অসংখ্যক পত্রিকাকে বন্ধ করা হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে পত্রিকার ক্ষতি সামাল দিতে গিয়ে কর্মচারি ও সাংবাদিককে বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে করোনা মহামারির সময়ে গণমাধ্যমকে টিকিয়ে রাখতে পথ সৃষ্টি বের করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বিভিন্ন সূত্রে মতে; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরিয় অঞ্চল, আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় বেশির ভাগ সাংবাদিক করোনা কোভিড সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়ে পত্রিকা বন্ধসহ চাকুরি হারানো সহ ছাঁটাইয়ে পড়তে হয়। এ অতি মহামারির সময়ে বিখ্যাত গণমাধ্যম গুলো বন্ধ করতে হয়েছে। এ গুলোর মধ্যে কানাডার বিখ্যাত সল্টওয়ার নেটওয়াক, চল্লিশটির মধ্যে পত্রিকা দ্য ক্রনিক্যল হেরাল্ডসহ চারটির সংস্করণ বের হচ্ছে। হংকংয়ের সাউথ চায়না মনিং পোষ্ট এর মতে পত্রিকার আয় কমে যাওয়ায় ত্রিশ শতাংশের চাকুরি গেছে। এ ছাড়া ভারতে ত্রিশ হাজার সাংবাদিকের চাকুরি গেছে, দশ শতাংশের বেতন কমে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকা অবস্থা এভাবে চলছে।
এদিকে বর্তমান মহামারি করোনা সংবাদ সংগ্রহ সহ বিভিন্ন কারনে প্রায় ১২৮ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হন। এদের মধ্যে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে এলাকায় সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হন।
আমাদের দেশের গণমাধ্যম গুলোর ও অবস্থা বেশি ভাল নয়, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ক্ষয়ক্ষতির শিকার কম হয়নি, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত।