ডাঃ কাজী নূরজাহান একজন পল্লী চিকিৎসক, আর্য়ূবেদিক বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন থেকে নান্দনিক নিহাল সেবা কেন্দ্রে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। দুঃখের বিষয় তিনি এখন প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন মাস জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত, কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন নিরুপায় হয়ে পরিবারটি সমাজের মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত মানুষের দ্বারস্থ হয়েছে, জানিয়েছেন বাঁচার আকুতি। চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। ডা. কাজী নূরজাহানের বয়স মাত্র ৩০ বছর। বাসা সিলেটের মেজরটিলা এলাকার ইসলামপুর শ্যামলী ১নং রোডের কাজী ভবনে। তার স্বামী ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান হিরন মিয়া ছেলে মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন এবং একমাত্র ছেলে নিহালকে নিয়ে সংসারটি ভালোই ছিলো এবং ছেলের নামে নান্দনিক নিহাল সেবা কেন্দ্র ফার্মেসিটি তিনি চালাতেন।
গত সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ করে ডা. কাজী নূরজাহান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর পরীক্ষা করে দেখা গেলো তিনি জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ডা. কাজী নূরজাহানের স্বামী জানান, পূর্বে তার স্ত্রীর কোনো সমস্যা ছিলোনা। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্ত্রী’র চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছি এবং বর্তমানে ফার্মেসিটাও বন্ধ আছে। এখন পরিবারটি নিরুপায়। টাকার জন্য থেমে গেছে চিকিৎসা। বর্তমানে ডা. কাজী নুরজাহানের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। কোনো দিশা না পেয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছেন তারা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে ১৫ থেকে ২০টি ইঞ্জেশন দিতে হবে। উন্নত চিকিৎসা দেয়া হলে তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এ জন্য বিশ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা দরকার। যার মূল্য প্রতিটি ইঞ্জেশনের দাম পরে লাখ টাকা।
কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা কঠিন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় বাসায় রয়েছেন। এখন হৃদয়বান মানুষ ছাড়া এই পরিবারের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। সবার সাধ্যমত সহযোগিতায় একটি শিশু তার মাকে ফিরে পাবে। তাই বড় আশা করে পরিবারটি সহযোগিতার জন্য একটি বিকাশ নাম্বার ০১৩১২৪৪৫০৮১ ও যোগাযোগ করা জন্য একটি মোবাইল নাম্বার ০১৭৫৯৮৯৪৩৭১ দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি