স্পোর্টস ডেস্ক :
প্রিমিয়ার লিগে নবাগত লিডস ইউনাইটেডকে গোলের মালা পরিয়ে খেতাবের লড়াইয়ে ফিরল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড৷ ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে ৬-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবলে তিন নম্বরে উঠে এল রেড ডেভিলরা৷
ম্যাচের প্রথম তিন মিনিটেই দু’ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যান ইউ৷ তবে ম্যাচের বাকি সময়েও দাপট দেখিয়েছে তারা। জোড়া গোল করেন স্কট ম্যাকটমিনে ও ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। একটি গোল করেন করেন ভিক্টর লিনদেলোভ ও ড্যানিয়েল জেমস। ১৬ বছর পর প্রিমিয়র লিগে ফেরা লিডসের দুই গোলদাতা হলেন লিয়াম কুপার, স্টুয়ার্ট ডালাস।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে রোমাঞ্চ জাগান ম্যাচে দুই দল মিলে গোলের উদেশ্যে মোট ৪৩টি শট নেয়৷ যার মধ্যে ১৭টি লক্ষ্যে স্থির থাকে৷ ২৬ শট নেন ম্যান ইউ ফুটবলাররা৷ এর মধ্যে লক্ষ্যে স্থির থাকে ১৪টি-তে। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচে হল ৮টি গোল৷ ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম মার্সেলো বিয়েলসার কোচিংয়ে কোনও ক্লাব দল ম্যাচে ৬ গোল হজম করল। সেবার কোপা লিবের্তোদোরেসে সান লরেঞ্জোর বিপক্ষে তার দল নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ হেরেছিল ৬-০ গোলে।
ম্যান ইউ ঘরের মাঠে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শুরুটা করেছিল স্বপ্নের মতো। মাত্র ৬৭ সেকেন্ডেই গোলের দেখা পায় রেড ডেভিলস৷। ফার্নান্ডেজের পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ম্যাকটমিনে৷ এর পরের মিনিটে অঁতনি মার্সিয়াল বল বাড়ান বল এই স্কট মিডফিল্ডারকে৷ ডি-বক্সে পেয়ে বাঁ-পায়ের শটে ম্যাচের নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ম্যাকটমিনে৷
এরই সঙ্গে নজির গড়েন এই স্কট ফুটবলার৷ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনও ম্যাচের প্রথম তিন মিনিটে জোড়া গোল করেন ম্যাকটমিনে। লিগে তার আগের ৬৮ ম্যাচে গোল ছিল মাত্র ৬টি। ১৯ মিনিটে লিডসের প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড বল জালে পাঠালেও অফ-সাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। পরের মিনিটেই ম্যাচের স্কোরলাইন ৩-০ করেন ফার্নান্ডেজ। ডি-বক্সে মার্সিয়ালের শট ব্লকড করে ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান পতুগিজ মিডফিল্ডার।
প্রধমার্ধের আগেও আরও গোল করেন ম্যান ইউ ফুটবলাররা৷ ৩৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লিনদেলোভ। কর্নারে মার্সিয়ালের হেড দেওয়া বল সহজেই গোলটি করেন এই সুইডিশ ডিফেন্ডার। তবে বিরতির আগে লিগে নিজের প্রথম গোল করে ব্যবধান কমান কুপার।
দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে স্বাগতিকরা। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন জেমস। ম্যাকটমিনের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিকে জালে বল পাঠান তিনি৷ একটু পরে স্পট-কিক থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন স্কোরলাইন ৬-১ করেন ফার্নান্ডেজ৷ তবে ৭৩ মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান কমান ডালাস।