ফাজিলচিশতে প্রবাসীর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৫ জন আহত, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

32

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ফাজিলচিশত এলাকায় চেতনানাক্স ওষুধ ¯েপ্র করে এক সৌদিআরব প্রবাসীর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। রবিবার ভোররাতে ২২/১ নং নিচতলার বাসায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের ¯েপ্র করার ফলে ৫ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জ্ঞান ফিরলেও তারা ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না।
জানা গেছে, ফাজিলচিশত এলাকার কানাডা প্রবাসী আলাউর রহমান চৌধুরীর ২২/১ নং বাসার নিচতলায় ভাড়াটে থাকেন গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী সিদ্দেক আলীর পরিবার। সিদ্দেক আলী ও তার ছেলে সাইদুল হক সৌদি আরবে থাকেন। ফাজিলচিশতের ওই বাসায় থাকেন প্রবাসী সিদ্দেক আলীর স্ত্রী, তিন সন্তান ও আরেক মহিলা। গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত ওই ঘরের রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে চেতনানাক্স ওষুধ ¯েপ্র করে সবাইকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটে নেয়। লুট হওয়া মালামালের টাকার পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সিদ্দেক আলীর স্ত্রীর বরাত দিয়ে প্রবাসী সাইদুলের বন্ধু জাসওয়ান আহমদ তথ্যগুলো জানান। ডাকাতরা শুধু টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানান জাসওয়ান।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার জোহরের নামাজের সময় প্রতিবেশীরা ওই বাসার দরজা-জানালা বন্ধ এবং রান্নাঘরের জানালার গ্রীল ভাঙা দেখে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সবাই ঘরে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। এ সময় স্থানীয়রা সিদ্দেক আলীর স্ত্রী-সন্তানসহ ৫জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয়রা মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পরে ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থদের খোঁজ-খবর নেয়।
এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল এবং ওসমানী হাসপাতাল ঘুরে এসেছে। তবে আমাদের জানামতে মোবাইল ফোন ছাড়া আর কিছু লুট হয়নি। আর এটিকে ঠিক ডাকাতিও বলা যায় না। তিনি বলেন, অসুস্থদের হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জের প্রক্রিয়া চলছে। তারা সুস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ করলে বা মামলা দায়ের করলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।