কাজিরবাজার ডেস্ক :
থাইল্যান্ডের কঠোর রাজতন্ত্র অবমাননা আইন সংশোধন করতে দেশটির কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জেনেভায় শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিতর্কিত আইনটির ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানায় সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই আইন অন্তত ৩৫ জন অ্যাকটিভিস্টের বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ বছর বয়সীরাও রয়েছে।
থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র অবমাননা আইনটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইন হিসেবে পরিচিত। ঠিক কোন কোন বিষয় অবমাননাকর বিবেচিত হবে, বিতর্কিত ওই আইনে তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।
আইন অনুযায়ী, রাজতন্ত্রের অবমাননা করলে ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু তা আর গ্রাহ্য করছে না প্রতিবাদকারীরা। আইনটি সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক মাস ধরেই বিক্ষোভ করছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ।
সম্প্রতি তাদের দাবিতে যুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগের দাবিও। বিক্ষোভের সময় অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজতন্ত্র অবমাননাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মুখপাত্র রাভিনা সামদাসানি শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকার প্রয়োগের কারণে কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের মারাত্মক অপরাধের অভিযোগের ব্যবহার বন্ধ করতে আমরা থাইল্যান্ডের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
থাইল্যান্ডে গত কয়েকদিনে যাদের বিরুদ্ধে এ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন তরুণ নেতা পারিত চিউওয়ারাক, মানবাধিকার আইনজীবী আনোন নাম্পা, পানুপং মাইক, ছাত্রনেতা পানুসায়া এবং অভিনেত্রী ইনিতিরা চারোয়েনপুরা।