স্পোর্টস ডেস্ক :
স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো জেমকন খুলনা। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়েছে তারা। খুলনার দেয়া ১৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫০ রান করে চট্টগ্রাম।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য চট্টগ্রামের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। এ সময় ক্রিজে ছিলেন সৈকত আলী ও মোসাদ্দেক হোসেন। ওভারের প্রথম বল থেকে এক রান নেন সৈকত। দ্বিতীয় বল থেকে ২ রান নেন মোসাদ্দেক। তৃতীয় বলটি ছিল লো ফুল টস। উড়িয়ে মারেন মোসাদ্দেক। লং অনে ক্যাচ হন তিনি। ১৪ বলে ১৯ রান করেন মোসাদ্দেক।
চতুর্থ বলে বোল্ড হন সৈকত। ৪৫ বলে ৫৩ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। পঞ্চম বল থেকে ১ রান নেন নাদিফ চৌধুরী। শেষ বলে ছক্কা হাঁকান নাহিদুল। খুলনার বোলারদের মধ্যে শহীদুল ইসলাম ২টি, হাসান মাহমুদ ১টি, আল-আমিন হোসেন ১টি ও শুভাগত হোম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায়। চতুর্থ ওভারে শুভাগত হোমের বলে বোল্ড হন সৌম্য সরকার। ১০ বলে ১২ রান করেন তিনি। পঞ্চম ওভারে আল-আমিন হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হন মোহাম্মদ মিথুন। ৫ বলে ৭ রান করেন দলীয় অধিনায়ক। নবম ওভারে দলীয় ৫১ রানে রান আউট হন লিটন দাস। ২৩ বলে ২৩ রান করেন এই ওপেনার।
এরপর ৪৫ রানের জুটি গড়েন শামসুর রহমান ও সৈকত আলী। দলীয় ৯৬ রানে লং অনে শুভাগতর হাতে ক্যাচ হন শামসুর। ২১ বলে ২৩ রান করেন তিনি। পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করলেও চট্টগ্রামকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারেননি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। দলটির অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম ২টি, শরিফুল ইসলাম ২টি, মোসাদ্দেক হোসেন ১টি ও মোস্তাফিজুর রহমান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরেন জহুরুল ইসলাম। নাহিদুলের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তৃতীয় ওভারে ইমরুলও নাহিদুলের শিকার হন। লং অফে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ৮ বলে ৮ রান করেন ইমরুল।
জাকির হাসান দারুণ খেলছিলেন। দলীয় ৪৩ রানে মোসাদ্দেকের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ হন তিনি। ২০ বলে ২৫ রান করেন তিনি। পরে ৪০ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক। দলীয় ৮৩ রানে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন আরিফুল। ২৩ বল খেলে তিনি করেন ২১ রান।
১৬তম ওভারে লং লেগে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ হন শুভাগত হোম। ১২ বলে ১৫ রান করেন তিনি। পরে ওভারে রান আউট হন শামীম হোসেন। ১ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। পরে মাশরাফি নেমে ৬ বলে ৫ রান করে মোস্তাফিজের শিকার হন। শেষ দিকে রিয়াদ ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন। ম্যাচসেরা হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৫ রানে জয়ী জেমকন খুলনা।
জেমকন খুলনা: ১৫৫/৭ (২০ ওভার)
(জহুরুল ০, জাকির ২৫, ইমরুল ৮, আরিফুল ২১, মাহমুদউল্লাহ ৭০*, শুভাগত ১৫, শামীম ০, মাশরাফি ৫, শহীদুল ১*; নাহিদুল ২/১৯, শরিফুল ২/৩৩, রাকিবুল ০/১৯, মোসাদ্দেক ১/২০, মোস্তাফিজ ১/২৪, সৌম্য ০/৩৯)।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: ১৫০/৬ (২০ ওভার)
(লিটন ২৩, সৌম্য ১২, মিথুন ৭, সৈকত আলী ৫৩, শামসুর ২৩, মোসাদ্দেক ১৯, নাহিদুল ৬*, নাদিফ ১*; মাশরাফি ০/৪০, শুভাগত ১/৮, আল-আমিন হোসেন ১/১৯, হাসান মাহমুদ ১/৩০, আরিফুল ০/১৮, শহীদুল ২/৩৩)।
ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (জেমকন খুলনা)।