দক্ষিণ সুনামগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

14

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পশ্চিম পাগলায় তুলার গুদামে আগুন লেগে প্রায় দুই লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আলী হোসেন।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১ টায় উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের আবদুল খালিকের বাড়িতে তুলার গুদামে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এ ঘটনায় গুদাম ভর্তি বিভিন্ন জাতের তুলা, ধানসহ বেশকিছু লেপ-তোশক আগুনে ভস্মীভূত হয়। এতে গুদাম মালিক আলী হোসেনের প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানায়, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে এ আগুন লাগতে পারে। পরবর্তীতে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর করেন। ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণের রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালান স্থানীয়রা। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের লোকজন এসে টানা আধাঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সর্বস্বহারা হয়ে পড়েন ক্ষুদ্র লেপ-তোষক ব্যবসায়ী আলী হোসেন।
আলী হোসেন বলেন, আমি শেষ। এ শীতে ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে ৭০-৮০ হাজার টাকার তুলা কিনে গুদামে রেখেছিলাম। আমার আর কিছুই রইলো না। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। ৮/৯ জনের বড় সংসার নিয়ে আমি এখন কীভাবে চলবো? কীভাবে কিস্তি চালাবো।
প্রত্যক্ষদর্শী রশিদ আলী বলেন, তুলার ঘরের কাছেই আমার বসতঘর। যে আগুন লেগেছি একটুর জন্য আমার ঘরেই লেগে যেতে পারতো। বাড়ির ভিতরে তুলার গুদাম দেওয়া কখনোই ঠিক নয়। আমরা সকলে মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ফয়সল চৌধুরী বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে খুব দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। পাগলা বাজার কান্দিগাঁও মসজিদের সামনে যানজট থাকায় প্রায় ১০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। পরে দুইটি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের প্রায় আধাঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখানে প্রচুর তুলা, ধান ও লেপতোষক পুড়ে ছাই হয়েছে।