কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ৯৩ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউ অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস) হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাকে দেখতে।
অনেক দিন ধরেই বাজপেয়ীর একটি কিডনি অচল ছিল। গত কয়েক বছর ধরে ঠিক মতো সচল ছিল না তার স্মৃতিশক্তি। অসামান্য বাগ্মীতার জন্য খ্যাতি ছিল যার, সেই অটলবিহারী বাজপেয়ী গত কয়েক বছর ধরে কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়েছিলেন অনেকটাই। কিডনি, মূত্রনালী ও বুকে সংক্রমণ নিয়ে গত ১১ জুন থেকে টানা হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই চিরতরে থেমে গেল তার হৃৎস্পন্দন।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, শানিত যুক্তি এবং অসামান্য কথনের জন্য দলমত নির্বিশেষে প্রশংসিত ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। ২০০৯ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে তার স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে শুরু করে। সেই থেকেই কথা বলার শক্তিও হারাতে থাকেন বাজপেয়ী। গত তিন দিনে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আর জীবনে ফেরানো গেল না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।
বাজপেয়ীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতির খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সারা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা দিল্লিতে যান।
বুধবার দুপুর থেকেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হতে শুরু করে। বুধবার দুপুরে তাকে দেখতে হাসপাতালে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যান কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়ালও। গত কয়েক মাসে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে দেশের হেভিওয়েটদের ভিড় নিয়মিত লেগে থাকত এইমসে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ অনেকেই গত কয়েক দিন ধরে নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন তার শারীরিক অবস্থার।
১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। প্রথম দফায় তেরো দিন, দ্বিতীয় দফায় তেরো মাস আর তৃতীয় দফায় পূর্ণ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বাজপেয়ীকে ভারতরতœ দেয়া হয়।