তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে তিনদিন নিখোঁজের পর এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাও গ্রামের আলাল উদ্দিনের স্ত্রী ফুলবানু বেগম (৩৮)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭ টার দিকে নিহত গৃহবধূর ছোট ছেলে উমর ফারুককে খুঁজতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন সারারাত আত্মীয় স্বজন সহ পরিচিত সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বুধবার (২৫ নভেম্বর) ফজরের নামজের পর স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম নওয়াজ আলী মেম্বারের পুরান বাড়ীর পূর্ব দিকের একটি পরিত্যক্ত ক্ষেতে তার লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। লাশ উদ্ধারের সময়ে দেখা গেছে লাশের একটি অংশ শিয়াল অথবা কুকুরে খেয়ে ফেলেছে।
নিহতের স্বামী আলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আমার স্ত্রীকে প্রায় সময় এ গ্রামের একটি চক্র উত্যক্ত ও কু নজর দিতো। আমার ধারণা তারাই আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধরে জঙ্গলে নিয়ে কিছু একটা করে মেরে ফেলেছে।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জানান, নিখোঁজের বিষয়টি নিহত গৃহবধূর বড় ছেলে গত একদিন আগে আমাকে জানিয়েছে। আমি তাদের পরামর্শ দিয়েছি নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশকে জানানোর জন্য।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের একটি অংশ শিয়াল অথবা কুকুরে খেয়ে ফেলেছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বলা যাবে। পুলিশ নিখোঁজ গৃহবধূর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে কাজ করছে। এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।