কাজিরবাজার ডেস্ক :
উপসাগরীয় প্রতিবেশি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। কাতারের সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা দ্বন্দ্ব নিরসনের পথ খুঁজছে দেশটি। তবে নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখে সমাধানটি হবে শর্তসাপেক্ষ।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া জি-২০ সম্মেলন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা বলেন। খবর আল জাজিরা।
সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করে ২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে প্রায় সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, আরব আমিরাত ও মিসর। মূলত সৌদির নেতৃত্বে কাতারকে বয়কট করে এসব দেশ। যদিও কাতার বারবার বলে আসছে, ‘সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।’
ফয়সাল বলেন, ‘কাতারি ভাইদের সঙ্গে আমরা আবারো সম্পর্ক জোরদার করতে চাই। আমরা আশা করি তারা আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন। তবে আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ সে বিষয়ে অবশ্যই তাদের একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’
যেকোন মুহূর্তে এই সমস্যার সমাধান কামনা করে গেল সপ্তাহে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ রহমান আল থানি বলেন, ‘উপসাগরীয় দেশের সংকটে কেউ বিজয়ী নয়।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল উতাইবা ইসরায়েলি গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান এত তাড়াতাড়ি হচ্ছে না।
সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে চলা সকল সমস্যার সমাধান করবেন। বাইডেন তার নয়া নীতির মাধ্যমে নতুন করে মধ্যেপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্য সহযোগিতা আরো জোরদার করবেন।’
মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি নতুন করে মেরুকরণ হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে বিশেষ সুবিধা পাওয়া সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের ওপর তাদের একক আধিপত্য হারাচ্ছে।