করোনায় ব্যবহৃত মাক্সসহ সকল-প্রকার বর্জ্য জন-স্বাস্থ্যে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, সর্বত্র করোনায় ব্যবহৃত বর্জ্যরে অপব্যবহারে পরিবেশ যেমন দূষিত হচ্ছে, তেমনি এসব মাস্কসহ অন্যান্য বর্জ্য সমূহে কুয়াশার পানি জমে থেকে উৎপত্তি হওয়া সব-ধরনের মশা ছাড়াও ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা ভাইরাসে ব্যবহৃত মাস্কসহ অন্যান্য বর্জ্যরে কারণে চরম হুমকিতে পড়েছেন শহরবাসী। নগরীর আনাছে-কানাছে গড়ে উঠেছে, নামে-বেনামে অসংখ্য ক্লিনিক, বেসরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসালয়। এ গুলোতে আগত অগণিত সাধারণ রোগী। এসব রোগীরা মাস্ক ব্যবহার করে, যেখানে ইচ্ছে. সেখানে ফেলে দিয়ে পরিবেশকে দূষিত করে তুলেছে। ফলে করোনা নামক মহামারির সাথে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব সৃষ্টি করছে।
সরকারের করোনা রোধের লক্ষ্যে “মাস্ক নেই-সেবা নেই” এ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল, সরকারী-আধাসরকারী অফিস আদালতে মাস্ক ব্যবহার করলেও বাহিরে আসার পরই কেউ-কেউ মাস্ক ফেলে দিতে দেখা যায়। এ ছাড়াও কেউ-কেউ ব্যবহৃত মাস্ক পকেটে পুরে রাখতে দেখা যায়। সরকারের “নো মাস্ক-নো সার্ভিস” নির্দেশনা দিলেও এ নীতি প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের গড়িমসির কারনে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন কতটুকু হচ্ছে, বা কতটুকু মনিটরিং হচ্ছে, তা দেখার কেউ নেই।
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, আমাদের সামনে করোনা মহামারির সাথে আরেকটি আতঙ্ক ডেঙ্গু মশার উপদ্রব দেখা দিয়েছে, এসব আতঙ্কের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজন একদল সৎ দক্ষ মেধাবী কর্মী বাহিনী তৈরি করে সব ধরনের নির্দেশিকা প্রয়োগের জন্য জনসাধারণকে সচেতনতা সৃষ্টির কাজে লাগাতে হবে।
দেশে করোনা মহামারির প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত থাকলেও সচেতনতার ব্যপারে সম্পূর্ণভাবে অসচেতনতায় ভুগছে। অথচ প্রতিটি মানুষের পকেটে মাস্ক দেখা গেলেও মুখে ব্যবহার করে না। ফলে দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার অনায়াসে বৃদ্ধি ঘটছে। করোনা রোধে সমস্ত প্রচার প্রকাশনা কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে কোন আলামত নেই।
সিলেটের হাট-বাজার, সকল প্রকার যান-বাহনে, বাস টার্মিনালে, রেল-স্টেশনে, রাস্তা-ঘাটে, জনসাধারণ অবাধে চলাফেরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কোন বালাই নেই বলে মনে হয়। অথচ প্রতিনিয়ত করোনা ভাইরাসে লোকজন আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ সহ শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞমহলের মতে; করোনা প্রতিরোধের নির্দেশনা সবত্র প্রয়োগের সাথে-সাথে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব রোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসা খুবই জরুরী।