কাজিরবাজার ডেস্ক :
আইনি লড়াই শেষে ছয় মাসের জন্য খুললো সিলেটের আরও দুইটি পাথর কোয়ারি। পাথর উত্তোলনে জারিকৃত স্থগিতাদের বিপক্ষে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সিলেটের দুটি কোয়ারি খুলে দেয়ার আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাবিব-উন-নবী। সিলেটের খুলে দেয়া কোয়ারি দুটো হচ্ছে- জাফলং ঊঈঅ বহির্ভূত পিয়াইন এলাকা ও বিছনাকান্দি। এগুলো থেকে ভোলাগঞ্জের মতো আগামী ছয় মাস সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করা যাবে।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকেও পাথর উত্তোলনের রায় দেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছানাকান্দি ও লোভাছড়ার পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) দায়ের করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন উচ্চ আদালত।
তবে এ নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। পরে আন্দোলনে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন পরিবহন ব্যবসায়ীরাও।
এই অবস্থায় চলতি মাসে দুই শুনানিতে ভোলাগঞ্জ, জাফলং ঊঈঅ বহির্ভূত পিয়াইন এলাকা থেকে ও বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের দেওয়া স্থগিতাদেশের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করলেন হাইকোর্ট।