২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি, সুপ্রীম কোর্ট এর আইনজীবী মাওলানা আব্দুল রকিব এডভোকেট মরহুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বলেন, মরহুম মাওলানা ভাসানী উপ-মহাদেশের বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এবং তদানিন্তন আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি হিসাবে সিলেটের ঐতিহাসিক রেফারেন্ডামে এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি আজীবন বিশে^র মজলুম মানুষের পক্ষ অবলম্বন করে সর্বপ্রকার স্বৈরাচার, জালিম, গণবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মরহুম মাওলানা ভাসানী বিশ^মান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট এর নেতৃত্ব দিয়ে সরকার গঠন করেছেন। বিশ^ মানুষের বন্ধু মাওলানা ভাসানী।
বাংলাদেশের জন্য মরণফাঁদ ভারত নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রাক্কালে দূরদর্শী জননেতা মরহুম মাওলানা ভাসানী ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য দূরদর্শী নেতা ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লংমার্চে নেতৃত্বে দিয়ে এদেশের মানুষের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
মাওলানা রকিব বিবৃতিতে আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান গৃহবন্দি হিসাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই সময় মরহুম ভাসানী জীবিত থাকলে সারাবিশ^কে এই বিষয়ের উপযুক্ত সমাধান, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বাধ্য করতেন। বর্তমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, প্রকৃত আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগী প্রকৃত জনদরদী মরহুম মাওলানা ভাসানীর খুবই প্রয়োজন ছিল।
মাওলানা রকিব মরহুম মাওলানা ভাসানীকে যেন মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র জান্নাতে উচ্চ মোকাম দান করেন সেই মর্মে বিশেষ দোয়া করেন। বিজ্ঞপ্তি