স্পোর্টস ডেস্ক :
প্রিমিয়ার লিগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আর্সেনালের সবশেষ জয়ের সাক্ষী ছিলেন কেবল ওলে গানার সোলশার। দুই দলের খেলোয়াড়, কোচ মিলিয়েও কেউ সেদিন ছিলেন না মাঠে। ইউনাইটেড খেলোয়াড় হিসেবে সোলশারের সেটাই ছিল শেষ মৌসুম। এরপর থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে বারবার হতাশাই সঙ্গী হয়েছে আর্সেনালের, আছে ৮-২ গোলে হারের অভিজ্ঞতাও। সেই গেরো অবশেষে কাটাল আর্সেনাল, ১৪ বছর পর! পিয়ের এমরিক অবামেয়াং-এর একমাত্র গোলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যান ইউনাইটেডকে হারিয়েছে আর্সেনাল।
ম্যাচের শুরুর চিত্র ছিলো একেবারেই আলাদা। শুরু থেকেই সমানতালে লড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনাল। পয়েন্ট টেবিলে গানারদের চেয়ে পিছিয়ে আছে রেড ডেভিল। তাই এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি একচুল। তবে গোল হয়নি। ৩৯ মিনিটে আর্সেনালকে আনন্দে ভাসানোর উপলক্ষ্য পেয়েছিলেন উইলিয়ান। কিন্তু হতাশ করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধও ছিলো রোমাঞ্চে ঠাসা। প্রতিমুহূর্তে টানটান উত্তেজনা নিয়ে সমর্থকদের অপেক্ষা। তবে, তাদের গোল উপহার দিতে পারেননি দু’দলের কোন ফুটবলার। ৫১ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো আর্সেনাল। কিন্তু এবার অবামেয়াংয়ের শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। তিন মিনিট পর লুক শ’ ম্যাজিকও উত্তেজনা ছড়িয়েই শেষ। গোল হয়নি।
অবশেষে আসে সে ক্ষণ। ৬৮ মিনিটে বড় ভুল করেন পল পগবা। আর্সেনালের বেলেরিনকে ফাউল করে বসেন ফরাসি মিডফিল্ডার। রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্ত লুফে নেন পিয়েরে এমরিক অবামেয়াং। প্রিমিয়ার লিগে টানা ৫ ম্যাচ গোলহীন থাকার পর, অবশেষে গোলের দেখা পেলেন গ্যাবনের এই ফরোয়ার্ড। গোলের আনন্দে নিজেও নেচেছেন। নাচিয়েছেন সতীর্থদেরও।
এই গোলের পর আর ভালো কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দু’দল। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল।